ছবি সংগৃহীত।
বৃষ্টিতে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বারবার।
সেই খেলা দেখতে কলকাতায় টিভি-র সামনে বসা দর্শকেরাও ভিজে একশা। বৃষ্টিতে নয়। ঘামে। ভারতের জয় কামনার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থনা ছিল, ‘লন্ডন ছেড়ে বৃষ্টি এসো কলকাতায়। এসো বৃষ্টি বাংলায়।’
রবিবার এজবাস্টনে যখন ঝেঁপে বৃষ্টি নামছে, তার কিছু আগেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছে বাংলার গরম। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার যুগলবন্দিতে মহানগরে অস্বস্তির মাত্রা উঠে যায় ৬৮-তে। আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, এই মরসুমে অস্বস্তির নিরিখে এটাই সর্বোচ্চ। এই সূচক অনুযায়ী ৫৫-র বেশি হলেই অস্বস্তি শুরু হয়। ৬৫ পেরোলেই চরম অস্বস্তি।
এ দিন মহানগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি বেশি। গরমের মেজাজ চড়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে বাঁকুড়া, আসানসোল-সহ পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকা। আজ, সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসেও পরিস্থিতি প্রায় একই থাকবে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। অস্বস্তিকর এই গরমের জন্য দূষণকেও দুষছেন বিজ্ঞানীদের অনেকে। তাঁরা বলছেন, মে-জুনে পশ্চিম দিক থেকে হাওয়ার সঙ্গে দূষিত কণা ভেসে আসে। তা জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে যায়। এই কণা তাপ শোষণ করে জলীয় বাষ্পকে গরম করে তোলে। তাকে ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি হতে দেয় না।
আরও পড়ুন: দিনমজুরের জীবনে আলো ডাক্তার প্রদীপ
কেরলে কিছু আগে বর্ষা ঢোকায় বৃষ্টি নিয়ে আশাবাদী ছিল বাঙালিও। কিন্তু সেই আশা মিলিয়ে গিয়েছে। বর্ষা যে নির্দিষ্ট সময়ে বাংলায় আসতে পারছে না, সেটা কার্যত নিশ্চিত। মৌসম ভবনের খবর, ছ’দিন ধরে দক্ষিণ ভারতেই থমকে আছে বর্ষা এক্সপ্রেস। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসে ৮ জুন। কিন্তু ৭ জুনের আগে বর্তমান অবস্থান থেকে তার নড়াচড়ার সম্ভাবনা নেই। বর্ষা দক্ষিণ ভারত থেকে ধাপে ধাপে এগোয়। এ রাজ্যে তার পৌঁছতে দু’ধাপ বাকি।
বাস-বিহার: কলকাতায়। ছবি:সুদীপ্ত ভৌমিক।
গরমের বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতে কালবৈশাখী সাময়িক স্বস্তি এনে দেয়। এ বছর সে-দিক থেকেও কলকাতার কপাল মন্দ। পশ্চিমের জেলাগুলিতে কিছু কিছু ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। এ দিন সেখান থেকেও মেঘ উধাও। ‘‘মঙ্গলবারের পরে বৃষ্টির আশা সামান্য বা়ড়তে পারে। কারণ, একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে ঝাড়খণ্ডে,’’ বলছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।