করোনা আবহে এ বার রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের এই প্রার্থনাকক্ষেই হবে জগদ্ধাত্রী পুজো। নিজস্ব চিত্র
করোনা পরিস্থিতিতে বেলুড় মঠের দুর্গাপুজোয় সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এ বার একই ভাবে বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের জগদ্ধাত্রী পুজোতেও ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশের সুযোগ থাকছে না।
বৃহস্পতিবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ। জি টি রোডের দিকে বেলুড় মঠের যে প্রবেশপথ রয়েছে, তার বাঁ দিকে প্রথমেই রয়েছে সারদাপীঠ। সেখানে সারদাদেবীর প্রার্থনাকক্ষের পাশেই কংক্রিটের মঞ্চে জগদ্ধাত্রী পুজো হত। কিন্তু এ বার পুজো হবে ওই প্রার্থনাকক্ষের মধ্যে। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ওই কক্ষেই সারদাদেবীর ছবির সামনে জগদ্ধাত্রী মূর্তি রেখে পুজো করা হত। স্বামী দিব্যানন্দ বলেন, ‘‘অতিমারির কারণে এ বারেও প্রার্থনাকক্ষে মা সারদার ছবির সামনে ছোট জগদ্ধাত্রী মূর্তি রেখে পুজো করা হবে, সমস্ত বিধি-আচার মেনেই।’’
রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের পুজোর এ বার ৭৫ বছর। প্রতি বছর ওই পুজো দেখতে বর্ধমান, মেদিনীপুর, হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা বেলুড়ে আসতেন। সারদাপীঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রায় ২০-৩০ হাজার মানুষের ভিড় হত। তাঁরা পুষ্পাঞ্জলি দিতেন, প্রসাদও পেতেন। অতিমারির কারণে এ বছর পুষ্পাঞ্জলি থেকে প্রসাদ বিতরণ— সবই বন্ধ রাখা হচ্ছে। আগামী ২৩ ও ২৪ নভেম্বর বন্ধ থাকবে সারদাপীঠের মূল গেট। তবে কংক্রিটের বেদিতে রাখা ঘট থেকে শান্তিজল নিতে ২৫ নভেম্বর নিয়ম মেনে সারদাপীঠে ঢুকতে পারবেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।
সারদাপীঠ কর্তৃপক্ষ জানান, ২২ নভেম্বর বেলুড় মঠে শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ধ্যারতির পরে সারদাপীঠে জগদ্ধাত্রীর অধিবাস হবে। ২৩ নভেম্বর পূর্বাহ্ন-মধ্যাহ্ন-অপরাহ্নে হবে পুজো। চিরাচরিত প্রথা মেনে এ বারও প্রতিমার গায়ের রং হবে শিউলি ফুলের বোঁটার রঙের মতো। ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বেলুড় মঠে সারদাদেবীর মন্দিরের উল্টো দিকের ঘাটে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বিসর্জন হবে। কর্তৃপক্ষ জানান, ভিড় এড়ানোর তাগিদে বাইরে বড় পর্দাতেও পুজোর সম্প্রচার করা হবে না। তবে বাড়িতে বসেই www.saradapitha.org এবং www.belurmath.org ওয়েবসাইটে সরাসরি রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার সুযোগ মিলবে।