Enforcement Directorate

সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস কর্মীই পুলিশে অভিযোগ করলেন ইডির বিরুদ্ধে

শুক্রবার লালবাজারে গিয়ে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন চন্দন। জানিয়েছেন, তারা তল্লাশি করে যাওয়ার পর সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি ‘অচেনা’ ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৪
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করল ইডি। গত সোমবার ওই সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালানোর পরেই চন্দনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার লালবাজারে গিয়ে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন চন্দন। তাঁর অভিযোগ, ইডির আধিকারিকেরা তল্লাশি করে যাওয়ার পর সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি ‘অচেনা’ ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতর থেকে বেশ কিছু নথি, লেজ়ার বুক এবং হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই বিষয়ে জানতেই চন্দনকে তলব করা হয়ে তাকতে পারে।

সোমবার সকালে ইডির তিনটি দল সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন পৃথক তিন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে একটি প্রকল্প এলাকায় যান ইডির আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, লি রোডে সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে এবং জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও যান তাঁরা। একই সঙ্গে আলিপুরে লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরেও যায় ইডি। একযোগে তিন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। বিষ্ণুপুর এবং লি রোডে তল্লাশির কাজ শেষ হলেও আলিপুরের অফিসে তল্লাশি গড়ায় ভোর পর্যন্ত। ইডি সূত্রে খবর, এই লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় উচ্চ পদে চাকরি করতেন সুজয়কৃষ্ণ। আবার তাঁরই সংস্থা এসডি এন্টারপ্রাইজ়ের সঙ্গেও ওই সংস্থার লেনদেনের প্রমাণ গোয়েন্দারা পেয়েছেন বলে দাবি। ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ২০২০-২১ সালের মধ্যে সুজয়কৃষ্ণকে এসডি এন্টারপ্রাইজ়ের সঙ্গে লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ৯৫ লক্ষ এক হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। কবে, কত টাকা লেনদেন, তা-ও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

Advertisement

তল্লাশি অভিযানের পর লিখিত বিবৃতিতে ইডি দাবি করেছিল, ‘লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর চিফ এগজ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক। যদিও ডায়মন্ড হারবারের দু’বারের সাংসদ অভিষেকের ২০১৪ বা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার সময়ে নির্বাচন কমিশনে জমা-দেওয়া হলফনামা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার কোনও তথ্য নেই। ২০১৪ সালের হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার ১০ টাকা মূল্যের এক হাজারটি শেয়ার রয়েছে তাঁর। ২০১৯ সালে সেই কথাও উল্লেখ নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement