ইডির তল্লাশি চলাকালীন আলিপুরের আইনজীবীর বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবারের পর বুধবারও শহরে শুরু হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তল্লাশি অভিযান। তবে এ বার কলকাতার সঙ্গে জুড়ল হাওড়াও। বুধবার সকালে কলকাতার কেয়াতলা রোডে এক ব্যবসায়ী এবং আলিপুরের এক আইনজীবীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি হাওড়ার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তবে ইডি সূত্রে খবর, এই সব ক’টি অভিযান একটি মামলার সূত্রে নয়। একাধিক মামলার তদন্তে চালানো হচ্ছে এই তল্লাশি অভিযান। যার মধ্যে সারদা মামলাও রয়েছে।
২৪ ঘণ্টা আগেই ভবানীপুর এলাকায় পিজি হাসপাতালের পিছন দিকের একটি পাড়ায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। আর্থিক তছরুপের তদন্তকারী এই কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, মঙ্গলবারের ওই তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে মোবাইল গেমিং প্রতারণা কাণ্ডের যোগ রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরেই মোবাইল গেমের অ্যাপ বানিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা চক্র ফাঁস করেছিল ইডি। ই-নাগেটস্ নামের ওই গেমিং অ্যাপে কোটি কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছিল তারা। বুধবার সকালে কলকাতার দু’টি এলাকায় তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে সেই মামলারই যোগ আছে কি না তা অবশ্য ইডি সূত্রে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে হাওড়ার যে ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তিনি সারদা মামলায় বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টা ৪০মিনিট নাগাদ ইডির কর্তারা পৌঁছে যান হাওড়া জগাছায় ব্যবসায়ী রামেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। জগাছার ধারসা পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রামেন্দু টাওয়ার গ্রুপ নামে চিট ফান্ড কোম্পানির মালিক। তবে এ ছাড়াও সৌরবিদ্যুৎ-সহ নানা ব্যবসা এবং বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। যদিও সারদা মামলায় অভিযুক্ত রামেন্দু এখন জেলেই। অন্য দিকে, বুধবার সকালে প্রায় একই সময়ে কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর এলাকার কেয়াতলা রোডে এক জন ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে এবং আলিপুরের এক আইনজীবীর আবাসনে ইডির তল্লাশি শুরু হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে এর মধ্যে কোনও একটি তল্লাশির নেপথ্যে ই-নাগেটস্ কাণ্ড থাকতে পারে।