TARIN

খোলা রেলগেট, চলে এল ট্রেন, গেটম্যানের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল শ্যামনগরে

কিন্তু রেল গেট বন্ধ না হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরনোর সিগন্যাল পেল ট্রেনটি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ১৫:২০
Share:

এই সেই ট্রেন যা বৃহস্পতিবার বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পায়। —নিজস্ব চিত্র।

বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আপ নৈহাটি লোকাল। লেবেল ক্রসিংয়ের গেট খোলা অবস্থাতেই প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে আসে ট্রেন। রেলগেট খোলা থাকায়, তখন লেবেল ক্রসিং ধরেই চলাচল করছে গাড়ি। লাইন পার হচ্ছেন মানুষজন। লেবেল ক্রসিংয়ের গেটম্যানের তৎপরতায় দুর্ঘটনা রোখা গেলেও, রেলগেট খোলা অবস্থায় কী ভাবে ওই ট্রেনটি সবুজ সিগন্যাল পেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহ মেন শাখার শ্যামনগরের ২৫বি লেবেল ক্রসিংয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ দিন সকাল তখন প্রায় সাড়ে ১১টা। লেবেল ক্রসিংয়ের গেট খোলা। সাইকেল বা পায়ে হেঁটে মানুষ যাতায়াত করছেন। একটি গাড়িও তখন লাইন পেরোচ্ছিল। এমন সময়ে সবাই দেখেন যে, একটি ট্রেন আপ লাইনে এগিয়ে আসছে। অনেকে দৌড়ে লাইন পেরনোর চেষ্টা করেন। ট্রেন দেখে চমকে যান গেটম্যানও। তিনি তড়িঘড়ি কেবিন থেকে হটলাইনে ফোন করেন শ্যামনগরের স্টেশন মাস্টারকে।

লাইনের দু’পাশে থাকা সবাইকে স্বস্তি দিয়ে লেবেল ক্রসিংয়ের কয়েক গজ দূরে শেষ পর্যন্ত থেমে যায় ট্রেনটি। প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে আপ এবং ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদীকে চিঠির জের, ফোনে খুনের হুমকি পেলেন কৌশিক সেন

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে রেল লাইন পেরনোর সময় লেবেল ক্রসিংয়ে আটকে যায় একটি বালি বোঝাই লরি। তার ফলে রেলগেট বন্ধ হচ্ছিল না। কিন্তু রেল গেট বন্ধ না হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরনোর সিগন্যাল পেল ট্রেনটি? কারণ, রুট রিলে পদ্ধতিতে রেল গেট বন্ধ না হলে সিগন্যাল সবুজ হয় না। গেটম্যানের দাবি, এক দিকের রেলগেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অন্য দিকেরটি আটকে যায় বালি বোঝাই লরিটি হঠাৎ আটকে যাওয়ায়। সেই কারণেই সিগন্যাল সবুজ হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: ২৬ মাস পর অনুপম হত্যা-কাণ্ডের রায়, দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিত, সাজা ঘোষণা কাল

তবে গেটম্যান স্বীকার করেন, দিনের বেলা বলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কারণ চালকও দূর থেকে গেট খোলা দেখতে পেয়ে সতর্ক হওয়ার সময় পেয়েছিলেন। অন্য দিকে তত ক্ষণে ট্রেনের চালককে স্টেশন থেকেও ওয়াকিটকিতে ট্রেন থামানোর নির্দেশ দেন। এর রেল কর্মী বলেন, ‘‘রাতের বেলা হলে চালক সতর্ক হওয়ার সময় পেতেন না। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।” তবে রেলের তরফে সরকারি ভাবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

(দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement