জনতা জনার্দন! ভোটার শুধু ভিআইপি নন, ভিভিআইপি। অন্তত তেমনই মনে করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
ভোটদাতাকে সেই মর্যাদা দিতে তারা একটি কর্মসূচি নিয়েছে, যার নাম ভিভিআইপি অর্থাৎ ‘ভোটার ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ইনফর্মেশন প্রোগাম’। কোনও ভোটারই যাতে বাদ না-পড়েন, আসন্ন লোকসভা ভোটে সেটাই লক্ষ্য কমিশনের। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই কর্মসূচি।
অনেক সময় দেখা যায়, ভোটারের কাছে পরিচয়পত্র (এপিক কার্ড) রয়েছে। অথচ বুথে ভোট দিতে গিয়ে তিনি দেখছেন, তাঁর ভোটাধিকার নেই! এই পরিস্থিতির সামাল দিতে ‘ভিভিআইপি’-কে হাতিয়ার করছে কমিশন। ‘ভিভিআইপি’ নামক ওই লিঙ্কে গিয়ে ভোটার দেখে নিতে পারবেন, তালিকায় তাঁর নাম আছে কি না। টোল-ফ্রি (১৯৫০) নম্বরে ফোন করে বা নির্দিষ্ট নম্বরে মেসেজ করেও নাম যাচাই করা যেতে পারে।
কমিশনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, এপিক থাকা মানেই ভোটার তালিকায় নাম থাকা নয়। তাই তালিকায় নাম থাকার বিষয়টি আগে যাচাই করে নিলে ভোটের দিন ভোটার সমস্যায় পড়বেন না। নাম বাদ গেলে তালিকায় নতুন করে তা তোলার যাবে। অন্য এক কমিশন-কর্তা বলেন, ‘‘ভোটারের কথা ভেবেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। তাই তিনি ভিভিআইপি-ই।’’ এই ব্যাপারে কমিশনের উদ্যোগের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন এফএম রেডিও চ্যানেলকে ব্যবহার করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর। এই বিষয়ে জনতাকে ওয়াকিবহাল করতে বিমানবন্দরেও টিভি-প্রচার চলছে।
‘ভিভিআইপি’ নামক কর্মসূচির সবিস্তার বিবরণ রয়েছে রাজ্য সিইও দফতরের ওয়েবসাইটেও। সেখানে গিয়ে ভোটারেরা নাম পরীক্ষার পাশাপাশি নতুন ভোটার হতে, নাম সংশোধন বা ঠিকানা বদল ও এপিক সংশোধন করতে আবেদনপত্র পেয়ে যাবেন। বুথের ঠিকানা, বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও রয়েছে সেখানে। যাঁদের নাম বাদ পড়ছে, সেই তালিকাও দেওয়া আছে ‘ভিভিআইপি’-তে।