West Bengal By-Election 2024

বাংলার উপনির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন, কতটা ভোট বাড়ল চার কেন্দ্রে?

নির্বাচন কমিশনের তরফে বুধবার উপনির্বাচনের যে ভোটের হার প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হিসাব ছিল। ভোটগ্রহণ চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। দেখা যাচ্ছে, বুধবারের চেয়ে ভোট বেড়েছে অন্তত চার শতাংশ। প্রতিটি কেন্দ্রেই কিছুটা করে ভোট বেড়েছে। চারটি কেন্দ্রে ভোটের মোট হার ৬৬.৯৫ শতাংশ।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের তরফে বুধবার উপনির্বাচনের যে ভোটের হার প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হিসাব ছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল মোট ভোট পড়েছে ৬১.৭১ শতাংশ। তার মধ্যে ভোটের হার সবচেয়ে বেশি ছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। সেখানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬৭.১২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ ছাড়া, ওই সময়ের মধ্যে নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণে ভোট পড়েছিল ৬৫.৩৭ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ভোট পড়েছিল ৬৫.১৫ শতাংশ এবং কলকাতার মানিকতলায় ভোট পড়েছিল ৫১.৩৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার চার কেন্দ্রের চূড়ান্ত যে ভোটের হার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রায়গঞ্জেই। সেখানে ভোটের হার ৭১.৯৯ শতাংশ। এ ছাড়া, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণে ভোট পড়েছে ৭০.৫৬ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ভোট পড়েছে ৬৮.৪৪ শতাংশ এবং কলকাতার মানিকতলায় ভোট পড়েছে ৫৪.৯৮ শতাংশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটের হার প্রকাশ করা হয়েছিল। তার পরেও ভোটগ্রহণ চলেছে আরও অন্তত এক ঘণ্টা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেই কারণেই মোট ভোটের হারের হিসাব বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হল।

বাংলার চার কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতেই উপনির্বাচন হয়েছে বিধায়কেরা দলবদল করায়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাগদা কেন্দ্রে জয়ী বিশ্বজিৎ দাস এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়ী কৃষ্ণ কল্যাণী পরে তৃণমূলে যোগ দেন। পদ্মপ্রার্থী হিসাবে রানাঘাটে জয়ী হওয়া মুকুটমণি অধিকারী লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। এই তিন জনকেই লোকসভায় প্রার্থী করে তৃণমূল। বিশ্বজিৎ বনগাঁ, কৃষ্ণ রায়গঞ্জ এবং মুকুটমণি রানাঘাট কেন্দ্রে জোড়াফুলের প্রার্থী হন। বিধায়ক পদ থেকেও তাঁরা ইস্তফা দেন। তিন জনেই অবশ্য লোকসভায় পরাজিত হয়েছেন।

মানিকতলার ক্ষেত্রে উপনির্বাচনের কারণ কিছুটা ভিন্ন। ২০২১ সালে ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল জিতেছিল। বিধায়ক হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। ২০২২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন আইনি জটিলতায় মানিকতলায় উপনির্বাচন হয়নি। কিছু দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেখানে উপনির্বাচনের বন্দোবস্ত করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement