Election Commission

একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়! বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল কমিশন

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একই এপিক নম্বরে অন্য রাজ্যের ভোটার রয়েছেন, সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ১৩:০৭
Share:
ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। প্রতনিধিত্বমূলক ছবি।

ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। প্রতনিধিত্বমূলক ছবি।

একই এপিক (সচিত্র পরিচয়পত্র) নম্বরে একাধিক নাম থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। এপিক নম্বর এক হলেও ভোটকেন্দ্র এবং বিধানসভা কেন্দ্র আলাদা হয়। ভুয়ো ভোটার এবং একই নম্বরের একাধিক ভোটার কার্ড নিয়ে যখন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই ব্যাখ্যা দিল নির্বাচন কমিশন। তারা আরও জানিয়েছে, এপিক কার্ডে যে কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে সেখানেই ভোট দেওয়া যাবে। অন্য কোথাও না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একই এপিক নম্বরে অন্য রাজ্যের ভোটার রয়েছেন, সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহেই এ বার একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তার ব্যাখ্যা দিল কমিশন।

Advertisement

প্রশ্ন উঠছে, সারা দেশে আধার কার্ডের নম্বর প্রত্যেকের আলাদা। রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেখানেই হোক আধার কার্ডের নম্বর এক হয় না। এক ব্যক্তি এক আধার নম্বর। ভোটার কার্ডের ক্ষেত্রেও তেমন হওয়া উচিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে একই এপিক নম্বরের দুই বা তার বেশি রয়েছেন। ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এপিক নম্বরও একটি হবে। কারও সঙ্গে কারও যাতে মিল না থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গে এখনও প্রায় এক বছর বাকি বিধানসভা নির্বাচনের। কিন্তু ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে গত দু’দিনে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভিন্‌রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদ নিয়ে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো বাংলাতেও ফিল্ড সার্ভে না করে এআরও-র সাহায্যে অপারেটরদের কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ভূতুড়ে ভোটারদের নাম তোলা হচ্ছে। বাংলার ভোটারের একই এপিক কার্ডে হরিয়ানা, গুজরাতের লোকের নাম তুলছে!’’ উদাহরণ দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের রানিনগরে কোনও ভোটারের এপিক নম্বরে হরিয়ানার কারও নাম তোলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের গঙ্গারামপুরেও কারও এপিক নম্বরে নাম উঠেছে গুজরাতের লোকের।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement