Bengal TET Recruitment Case

প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ওএমআর মূল্যায়ন সংস্থার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

টেটের ওএমআর সংক্রান্ত তথ্য নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে। হাই কোর্টের নির্দেশে সেই তথ্যোদ্ধারে সম্প্রতি ৩৫টিরও বেশি হার্ড ডিস্ক এবং দু’টি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ১৪:০৭
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

টেটের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ইডি সূ্ত্রের খবর, প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে যেমন নগদ অর্থ রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ‘ফিক্সড ডিপোজ়িট’ও।

Advertisement

প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় দীর্ঘ দিন ধরেই ইডি এবং সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে এস বসু রায় সংস্থাটি। ২০১৪ সালের টেটের ওএমআর শিট স্ক্যানিং এবং মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল তারা। কিন্তু ওএমআর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই তারা নষ্ট করে ফেলে। যা প্রাথমিকের নিয়োগ মামলার তদন্তের জন্য ‘অত্যন্ত জরুরি’ বলে জানিয়েছিস সিবিআই।

ওএমআর তথ্যের সন্ধানে নেমে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল, যে সার্ভারে ওএমআর স্ক্যান করে রাখা হয়েছিল, সেটি ২০১৭ সালে বদলে ফেলেছিল সংস্থাটি। সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করায় তা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সংস্থার তৎকালীন প্রধান। সেই নির্দেশ পালন করা হয়। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআইকে পাল্টা বলে, ডিজিটাইজ়়ড তথ্য কখনও নষ্ট হয় না। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই। কিন্তু তথ্য উদ্ধার করতে হবে। হাই কোর্টের ওই নির্দেশের পরে গত ৯ জুলাই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায়-এর দফতরে গিয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। টানা কয়েক দিনের অভিযানে ৩৫টির বেশি হার্ড ডিস্ক এবং দু’টি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে।

Advertisement

অন্য দিকে, গত কয়েক দিনে ইডিও এস বসু রায়ের কয়েক জন কর্মচারী এবং হিসাবরক্ষককে তলব করে জেরা করে। এই মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া এস বসু রায়ের এক কর্মচারী এবং এক অংশীদারকে জেলে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির গোয়েন্দারা। তার পরেই শনিবার ইডির গোয়েন্দারা বাজেয়াপ্ত করেন সংস্থাটির সম্পত্তি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement