Enforcement Directorate

টেন্ডারে বনের বেনিয়ম নিয়ে খোঁজ শুরু ইডি’র

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছরে, ওই শাখার বেশ কয়েকটি প্রকল্প উন্নয়ন রিপোর্ট বা ডিপিআর (ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট) নিয়ে তথ্য জোগাড় করা শুরু করেছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রেশন কেলেঙ্কারির জেরে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। এ বার তাঁর নতুন দফতর বনবিভাগের বেনিয়মের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনে বন-বেনিয়মের বেশ কিছু তথ্যও তাদের হাতে এসেছে। বন দফতরের ‘জ়ু ডিরেক্টরেট’ বা চিড়িয়াখানা সংক্রান্ত শাখার বেশ কিছু টেন্ডার ডাকা এবং তা বণ্টন পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই কপালে ভাঁজ ফেলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছরে, ওই শাখার বেশ কয়েকটি প্রকল্প উন্নয়ন রিপোর্ট বা ডিপিআর (ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট) নিয়ে তথ্য জোগাড় করা শুরু করেছে তারা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ডিপিআর তৈরির ক্ষেত্রে অনেক সময়েই সাহায্য নেওয়া হয় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বা ফার্ম-এর। গাছ কাটা, বৃক্ষ রোপণ, বন বিভাগের বিবিধ নির্মাণ কাজ— বন দফতরের এমনই নানান উন্নয়নমূলক কাজের ডিপিআর তৈরির পরে তা সরকারি সিলমোহর পেয়ে থাকে। তার পর সেই কাজের ব্যাপারে টেন্ডার ডাকা হয়ে থাকে। এটাই প্রচলিত নিয়ম।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সংস্থার সন্দেহ, কয়েকটি ক্ষেত্রে ডিপিআর প্রস্তুতকারী সংস্থাই বেনামে টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের একটা সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তা হলে কি এ ক্ষেত্রেও মন্ত্রী-যোগ খুঁজছে ইডি? আকারে ইঙ্গিতে তেমনই সন্দেহ পোষণ করেছেন তদন্তকারীরা। কলকাতার উপকণ্ঠে একটি হরিণালয়ের পুনর্নবীকরণ কিংবা সুন্দরবন এলাকার একটি রেসকিউ সেন্টারের কিছু নির্মাণ কাজের পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, উত্তরবঙ্গের অন্তত দু’টি জাতীয় উদ্যানের গা ঘেঁষে নির্মীয়মাণ আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন নিয়েও। জাতীয় উদ্যান (ন্যাশনাল পার্ক) বা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের (প্রোটেক্টেড ফরেস্ট) পার্শ্ববর্তী নির্দিষ্ট এলাকাকে ইকো সেনসিটিভ জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। বন আইন অনুযায়ী ২ থেকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত ওই এলাকায় এমন কোনও কর্মকাণ্ড করা যায় না যা অরণ্য কিংবা বন্যপ্রাণের স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ণ করে।

অবসরপ্রাপ্ত পরিবেশ কর্তা তথা পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় মনে করেন এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, বন দফতর সে কাজে সিলমোহর দিল কার অনুমতিক্রমে? তবে, ওই নির্মাণ সংস্থাগুলির পক্ষে দাবি করা হয়েছে, যাবতীয় আইন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও ভূমিরাজস্ব দফতরের ছাড়পত্র নিয়েই তারা কাজে হাত দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement