ED

কলকাতা পুলিশের পর ইডি, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের ১৩ কোটি টাকার বিটকয়েন বাজেয়াপ্ত

মেটিয়াবুরুজের পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির ছোট ছেলে আমিরের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ওই বাড়ির খাটের তলা থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। যদিও সেই সময় পলাতক ছিলেন আমির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:০৮
Share:

আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা। ফাইল চিত্র।

গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দিয়ে খাটের তলা থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এ বার আমিরের ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিটকয়েন হিসেবে ব্যবহৃত ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২০০২ সালের অর্থ তছরুপ রোধ আইনে (পিএমএলএ) এই পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মঙ্গলবারই ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ওই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়। ‘বিনান্স’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মে ট্রান্সফার করা হয়েছিল ওই টাকা।

Advertisement

একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে ১০ সেপ্টেম্বর শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মেটিয়াবুরুজের পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির ছোট ছেলে আমিরের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। যদিও সেই সময় পলাতক ছিলেন আমির।

ইডি দাবি করেছিল, একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু গ্রাহককে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে আমির-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছিল। তার পরেই তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তাঁরা এ-ও দাবি করেছিল, তদন্তে বন্দর এলাকার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম জড়িয়েছিল।

Advertisement

গত শুক্রবার রাতে গাজিয়াবাদ থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এই মামলার তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তদন্তে জানা গিয়েছে, বেআইনি টাকা বিদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ‘কনভার্ট’ করে রেখেছিলেন আমির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement