আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলল অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির নামে। প্রতীকী ছবি।
তাঁর নামে এর আগেই প্রায় ৮২৫ কাঠা জমির হদিস মিলেছিল। এ বার বোলপুর শহর লাগোয়া রূপপুর এলাকায় একটি সম্পত্তির খোঁজ মিলল অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। পাশাপাশি, ইডি দাবি করেছে, জেরায় মণীশ নাম নিয়েছেন বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষের। সোমবার গরুপাচার মামলায় মণীশের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৩-’১৪ থেকে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে ওঠেন বোলপুরের চৌরাস্তার বাসিন্দা মণীশ। এর পরেই তাঁর সম্পত্তি বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, এমনই একটি সম্পত্তি রয়েছে রূপপুর পঞ্চায়েতে। স্থানীয়দের দাবি, রূপপুর গ্রামে মণীশের ৩০-৩৫ বিঘা জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ঘরও রয়েছে। সম্ভবত একটি রিসর্ট বানানোর পরিকল্পনা ছিল, অভিমত স্থানীয়দের। সুনীল কোড়া, লক্ষ্মী কোড়ারা বলেন, “আমরা অনেকের মুখেই শুনেছি, এই জমি মণীশ কোঠারির। কয়েক মাস আগেও কাজ হচ্ছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’’
এ দিকে, ইডি সূত্রের দাবি, জেরায় তাদের কাছে মণীশ জানিয়েছেন, সুদীপ্ত ও পর্ণা ২০১৮-’১৯ সালের মধ্যে বিপুল জমি কিনেছেন। বোলপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রেও জানা যাচ্ছে, ওই সময়ে ইলামবাজারের গোপালনগর মৌজায় প্রায় ৬৮০ কাঠা জমি কেনা হয়েছিল পর্ণার নামে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ কোটির বেশি। যদিও পুরপ্রধান পর্ণা বলেন, “আমার স্বামী চাকরি করেন। আমিও একটি স্কুলের সঙ্গীত শিক্ষিকা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছি। ২০১৫ সাল থেকে আমি কাউন্সিলর। চেয়ারপার্সন হিসেবে মাইনে পাই। এই সমস্ত কিছু যোগ করেও আমাদের যা সম্পত্তি আছে, তা ১৫ কোটি হবে না। এ বিষয়ে যদি তদন্তকারীরা আমাদের ডাকেন, নিশ্চয়ই সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়ে আসব।”
বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “সঠিক তদন্ত হলে ওঁদের নামে আরও অনেক কিছু বেরোবে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “তদন্ত যত এগোবে, ততই এঁদের দুর্নীতির বহর মানুষ বুঝতে পারবেন।” তৃণমূলের কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।