‘সি ভিজিল’ অকেজো, অভিযোগ বিরোধীদের

নির্বাচনী বিধি পালন নিয়ে অভিযোগ জানাতে মোবাইল অ্যাপ ‘সি-ভিজিল’ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে সেই অ্যাপের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০২:১৫
Share:

নির্বাচনী বিধি পালন নিয়ে অভিযোগ জানাতে মোবাইল অ্যাপ ‘সি-ভিজিল’ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে সেই অ্যাপের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠল। বৈঠক শেষে সিপিএম নেতা রবীন দেব দাবি করেন, বলা হয়েছিল, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই ওই অ্যাপে অভিযোগ জানানো যাবে। কিন্তু ওই অ্যাপে এখন বলা হচ্ছে, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে তা জানানো যাবে। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তি জারির অর্থ স্পষ্ট নয়। নির্বাচনের সার্বিক বিজ্ঞপ্তি নাকি কেন্দ্রভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি তা বোঝা যাচ্ছে না। রাত পর্যন্ত অ্যাপটি ঠিকমতো কাজও করছে না।

Advertisement

এ ব্যাপারে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘সি-ভিজিল কবে তা চালু হবে, তা বলতে পারছি না।’’ সিইও দফতর সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে কী করণীয় তা জানতে কমিশনের সদর দফতরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, লোকসভা ভোট ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে কোনও পোস্টার বা ফ্লেক্স রাখা যাবে না। সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপনও রাখা যাবে না। এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন নিয়ে অভিযোগ করে বিজেপি। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী, দু’জনের বিজ্ঞাপন নিয়েই অভিযোগ জানিয়েছে বাম ও কংগ্রেস।

Advertisement

প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, নেতা-মন্ত্রীদের বিপুল পরিমাণ ছবি রয়েছে রাজ্য জুড়ে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব ছবি সরানো কার্যত অসম্ভব। তবে দ্রুত গতিতে সেই কাজ চলছে। বেশ কিছু জায়গায় এ দিন ছবি সরানো শুরু হয়েছে। আলিপুরে ফুটব্রিজ এবং কলকাতার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো বিজ্ঞাপন কালো ত্রিপলে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞাপন সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। সেই নির্দেশ মানা না-হলে ফের চিঠি যাবে। তার পরেও না-সরানো হলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।

কমিশন সূত্রের খবর, নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি বিধানসভায় ৩টি করে ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ থাকছে। তার প্রতিটিতে ২ জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। কমিশনের তরফে ন্যূনতম এক জন থাকবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement