ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য-কমিশন চাপানউতোর

কলকাতা পুরসভা এবং উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি পুরসভায় অবাধ ভোট করানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রশ্নে অনড় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত রবিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, পুরভোটে তাদের অন্তত ৫০ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন। রাজ্য সরকার তাতে রাজি হয়নি। তারা জানিয়েছিল, রাজ্যের নিজস্ব বাহিনী মোতায়েন করেই পুর নির্বাচনে শান্তি রক্ষা সম্ভব। যদিও এ ব্যাপারে কমিশন যে চিঠি পাঠিয়েছিল তার কোনও জবাব নবান্নের তরফেদেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০৩:১২
Share:

কলকাতা পুরসভা এবং উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি পুরসভায় অবাধ ভোট করানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রশ্নে অনড় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

গত রবিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, পুরভোটে তাদের অন্তত ৫০ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন। রাজ্য সরকার তাতে রাজি হয়নি। তারা জানিয়েছিল, রাজ্যের নিজস্ব বাহিনী মোতায়েন করেই পুর নির্বাচনে শান্তি রক্ষা সম্ভব। যদিও এ ব্যাপারে কমিশন যে চিঠি পাঠিয়েছিল তার কোনও জবাব নবান্নের তরফেদেওয়া হয়নি।

শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পুর ভোটের জন্য ৫০ কোম্পানি বাহিনী দরকার। রাজ্যকে ফের সে কথা মনে করাতে এ দিনই নবান্নে আরও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ না মানলে পূর্বতন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডের মতো বর্তমান কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ও আদালতের দ্বারস্থ হবেন কী না, সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর অবশ্য মেলেনি। সুশান্তরঞ্জনবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও উত্তর এখনও মেলেনি। তাই এ বার আমরা মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছি।”

Advertisement

শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, ৯২টি পুরসভায় ভোটের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ২৭০ জন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকও চেয়েছে কমিশন। তার উত্তরে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্য সরকার মাত্র ১০০ জন অফিসারের নামের তালিকা পাঠিয়েছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। তাদের চাহিদা মতো ২৭০ জন পর্যবেক্ষক দেওয়ার জন্য আজ, শনিবার কমিশন ফের চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকারকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement