—প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের মরসুমে যাত্রীর চাপ বেড়েছিল শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশনে। উৎসবের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি কাউন্টার খুলে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা হলেও সব ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক কর্মীর জোগান দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে অসংরক্ষিত শ্রেণির টিকিট কাটার উপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে রেল। এর জন্য ফোনে ‘আনরিজ়ার্ভড টিকিট অন মোবাইল’ বা ‘ইউটিএস অন মোবাইল’ অ্যাপের ব্যবহার সম্পর্কে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।
শিয়ালদহ ডিভিশনে দৈনিক ৯০০টিরও বেশি ট্রেন চলে। সব মিলিয়ে শহরতলির বিভিন্ন শাখায় ২০৮টি স্টেশন রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে সফর করেন।
উৎসবের মরসুমে প্রায় সব শাখাতেই আগের তুলনায় যাত্রী অনেকটা বেড়েছিল। সেই বর্ধিত যাত্রী-সংখ্যার কারণে বিভিন্ন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভিড় ছিল প্রবল। ভিড় কমাতে রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ অভিযান চালান। এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের স্মার্টফোনে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে সেখানে নাম নথিভুক্তি-সহ সমস্ত পর্যায় হাতেকলমে করে দেখিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা কী ভাবে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা না করে অনলাইনে টিকিট কেটে নিতে পারেন, তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থেই এ নিয়ে রেলের পক্ষ থেকে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।