— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শহরতলির লোকাল ট্রেনের বিভিন্ন স্টেশন কার্যত হকারদের দখলে চলে গিয়েছে বলে বহু দিন ধরেই বলে আসছে রেল। সম্প্রতি শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নেতড়া স্টেশনে একটি খাবারের দোকান থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ভোরের ওই দুর্ঘটনায় কোনও প্রাণহানি না হলেও একাধিক দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। একটি চামড়ার কারখানাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার পরেই রেলের পক্ষ থেকে ওই স্টেশনে বেআইনি দখলদার হটাতে অভিযান চালানো হয়।
অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর পর থেকে শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়াও বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের উপরে বিশেষ জোর দিয়েছে পূর্ব রেল। উল্লেখ্য, শিয়ালদহ ডিভিশনের বিধাননগর রোড, পার্ক সার্কাস, টালিগঞ্জ, বজবজ, যাদবপুর, বাঘা যতীন, গড়িয়া, সুভাষগ্রাম, সোনারপুর, বারুইপুর-সহ একাধিক স্টেশনে এই সমস্যা রয়েছে। রেলের আধিকারিকদের বক্তব্য, যে সব স্টেশনে যাত্রী বাড়ছে, সেখানে পাল্লা দিয়ে জবরদখল করে দোকান তৈরিও বাড়ছে। এর ফলে প্ল্যাটফর্মের পরিসর সঙ্কীর্ণ হচ্ছে। যে কারণে ট্রেনে ওঠানামার সময়ে বিপদ বাড়ছে যাত্রীদের। পাশাপাশি, প্ল্যাটফর্মে বহু খাবারের দোকানে গ্যাস, কেরোসিন স্টোভ জ্বালিয়ে ঘুগনি, টোস্ট, চায়ের দোকান চলায় বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কাও।
সমস্যা মেটাতে রেলের পক্ষ থেকে ওই সব স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে নিবিড় প্রচার চালানোর পরে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পার্ক সার্কাস, নেতড়া, বিধাননগর রোড স্টেশন নিয়ে রেলের তরফে কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে, নজরদারিতে ঘাটতির কথা মেনে নিয়েছেন রেলের আধিকারিকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যথেষ্ট সংখ্যায় রক্ষী না থাকা ছাড়াও অনেক সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য না পাওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রেখেই ফিরে আসতে হয়। সে কারণে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় স্তরে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে পরবর্তী ধাপে দখলদার উচ্ছেদ করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে রেল সূত্রের খবর।