পরিববারতন্ত্রের অভিযোগ এনে একের পর এক বিজেপি নেতাকে বিদ্ধ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
পরিবারতন্ত্র বেশি বিজেপিতেই। এমনটাই অভিযোগ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কুলতলির জনসভা থেকেই গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন তিনি। পরিববারতন্ত্রের অভিযোগ এনে একের পর এক বিজেপি নেতাকে বিদ্ধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো।
অভিষেক বলেন, ‘‘পরিবারতন্ত্র নিয়ে আমাকে আক্রমণ করছে। এ দিকে এক পরিবারের সাতজন সদস্যের পাঁচজন রাজনীতি করে।’’ এর পরেই নাম করে অভিষেক বলেন, ‘‘মুকুল রায় নিজে বিজেপির সহসভাপতি আর ছেলে বীজপুরের বিধায়ক। আমাকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক, ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় মধ্যপ্রদেশ থেকে বিধায়ক হয়েছেন। রাজনাথ সিংহ, দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ছেলে পঙ্কজ সিংহ উত্তরপ্রদেশ থেকে বিধায়ক হয়েছেন। আমাকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছে। শুভেন্দু অধিকারী, নিজে বিধায়ক মন্ত্রী ছিল। বাবা ও ভাই সাংসদ। আরেক ভাই মিউনিসিপ্যালটির চেয়ারম্যান, আর একজন কাউন্সিলর। আর আমাকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে।’’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে রাজ্য রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র কায়েম করার অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতারা। এ দিন সেই সমস্ত অভিযোগের উত্তর দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। একটি শর্ত দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন অভিষেক। তিনি বলেছন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, আমার পরিবার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ রাজনীতি করবে না। তোমার পরিবার থেকেও একজন রাজনীতি করবে। ক্ষমতা আছে? তোমাদের পরিবার থেকে সুনিশ্চিত করা হোক একজন রাজনীতি করবে। এটা তো নিয়ম হওয়া উচিত।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি ভারতবর্ষর প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি সংসদে বিল আনুন। দরকার হলে প্রাইভেট মেম্বারর্স বিল এনে করান। আমি ভোট দেব। প্রথম ভোটটা আমি দেব। একটি পরিবার থেকে একজন কাজ করবে। সে সাংসদ হোক, পঞ্চায়েত হোক, পলিটিক্যাল লোক একটাই হবে একটি পরিবার থেকে। আমি সেই বিলে ভোট দিয়ে ইস্তফা দেব। বিল আনতে পারবেন? আর যাঁরা বলছেন, তাঁরা বলবেন তো, যে পরিবার থেকে একজন রাজনীতি করবেন? কে করবেন সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক কর। আমার পরিবার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ রাজনীতি করবে না। আমি ইস্তফা দেব, তবে তোমাদের বলতে হবে, তোমাদের পরিবার থেকেও কেউ রাজনীতি করবে না।’’