Death

মইদুল কাণ্ড: পুলিশের ভূমিকায় মামলা কোর্টে

১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে পুলিশের বেধড়ক লাঠি চালানোর পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:২৩
Share:

মইদুল ইসলাম মিদ্যা

নবান্ন অভিযানে মিছিলের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির উল্লেখ করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বস্তুত, ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে পুলিশের বেধড়ক লাঠি চালানোর পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোমবার বাম যুব নেতা মইদুলের মৃত্যুর পরে তা আরও বড় আকার ধারণ করে। বাম ছাত্র-যুবদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতেই মইদুলের মৃত্যু হয়েছে। যদিও লালবাজার তা এখনও মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ময়নাতদন্তে মইদুলের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।

মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, মামলাটি নিয়ে আদালতের বাইরে এখন কোনও মন্তব্য তাঁরা করবেন না। যা বলার আইনজীবী মারফত সোমবার আদালতেই জানানো হবে। তবে সূত্রের দাবি, নবান্ন অভিযানের পর থেকে যে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলিই আদালতের সামনে তুলে ধরা হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার আগে পুলিশ আইন মেনে জমায়েতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কি না এবং লাঠিপেটা করার পুলিশি নিয়ম মেনে ছিল কি না, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন বহু প্রাক্তন পুলিশকর্তা। এমনকি, সে দিন কেন ধর্মতলা এলাকার সব অলিগলি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা ও মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁদের মতে, ভিড় যাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে পারে তার পরিসর রাখা প্রশাসনের কর্তব্য। মিছিলকারীদের মাথায় ও চোখে আঘাত দেখে এই প্রশ্ন অনেকে তুলেছিলেন যে শরীরের উপরের অংশে পুলিশ কেন আঘাত করেছে? মইদুলের মৃত্যুর পর এই বিতর্ক স্বাভাবিক ভাবেই বড় আকার ধারণ করেছে। অনেকেই বলেছেন, লালবাজারের দিকেই যখন অভিযোগের আঙুল উঠেছে, তখন তাদের হাতেই কেন তদন্তভার থাকবে?

তবে লালবাজার সূত্রে অবশ্য বেপরোয়া লাঠি চালানোর কথা বারবারই অস্বীকার করা হয়েছে। উল্টে তাদের দাবি, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement