আনন্দবাজার অনলাইনের সেরা বেছে নেওয়া বড়িশা ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা সংরক্ষণ করবে জিন্দল গোষ্ঠী নিজস্ব চিত্র।
আনন্দবাজার অনলাইনের সেরা বেছে নেওয়া বড়িশা ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা সংরক্ষণ করবে জিন্দল গোষ্ঠী। দশমীতে এমনই সুখবর পৌঁচ্ছেছে দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো কমিটির কাছে। শুক্রবার জিন্দল গোষ্ঠীর পক্ষে প্রতিমা সংরক্ষণের বিষয়ে চূড়ান্ত কথা হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন বড়িশা ক্লাবের কর্তারা। সূত্রের খবর, প্রতিমাটি আপাতত সংরক্ষিত থাকবে জিন্দল গোষ্ঠীর শালবনির একটি দফতরে। নিউটাউনে জিন্দল গোষ্ঠী একটি সংগ্রহশালা তৈরি করছে। সংগ্রহশালাটি তৈরি হলে গেলে বড়িশা ক্লাবের ‘ভাগের মা’ স্থান পাবে সেখানেই। আগামী ১৭ অক্টোবর জিন্দল গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বড়িশা ক্লাবের মণ্ডপ থেকে প্রতিমাটি নিয়ে যাবেন শালবনিতে।
থিমের নাম ‘ভাগের মা’ দিয়ে এ বার বড়িশা ক্লাবের শারোদৎসবের মঞ্চ সাজিয়েছিলেন শিল্পী রিন্টু দাস। সূত্রের খবর, বড়িশা ক্লাবে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন জিন্দল পরিবারের সদস্যা সঙ্গীতা জিন্দল। দেখেই মুর্তিটি পছন্দ হয় তাঁর। মুর্তিটি তাঁদের সংগ্রহশালায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও শিল্পীর সঙ্গে। ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বড়িশা ক্লাবের সভাপতি সুদীপ পোল্লে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনে এসেই আমাদের পুজোর প্রশংসা করেছিলেন। সেটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার। তবে জিন্দল গোষ্ঠী যখন আমাদের প্রতিমা সংরক্ষণ করে তাদের সংগ্রহশালায় রাখার প্রস্তাব দিল, তখন আমরা তাতে আপত্তি করিনি। শিল্প তাঁর যথার্থ মর্যাদা পাক আমরা সব সময় চাই।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ ও ২০২০ সালের প্রতিমা রাজ্য সরকার নিয়েছিল। প্রথমটি রয়েছে ইকো পার্কে, দ্বিতীয়টি নিউটাউনের রাস্তায়। ২০২০ সালের লকডাউনে দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের মাইলের পর মাইল পথচলার দৃশ্যকেই প্রতিমার আদলে তুলে এনেছিলেন শিল্পী রিন্টু। থিমের নাম ছিল- ‘পরিযায়ী উমা’। পরপর তাঁর প্রতিমা সংরক্ষিত হওয়া প্রসঙ্গে শিল্পী রিন্টু বলছেন, ‘‘আমার গড়া শিল্প এ ভাবে সমাদৃত হচ্ছে, এটা দেখে আমার আনন্দই হচ্ছে। কারণ শিল্প মর্যাদা পেলেই শিল্পী তাঁর যোগ্য সম্মান পান।’’