আকাশপথে: অসুস্থ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতায়। তাঁকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
রাত শেষ হতেই ফের ভিড় শুরু হয়ে যায় নার্সিংহোমের সামনে। জানানো হয়েছিল, রবিবার সকাল ৯টাতেই কোচবিহারের নার্সিংহোম থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতায়। যদিও দৃশ্যমানতা ঠিক না থাকায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স কোচবিহারে পৌঁছয় বেলা দেড়টা নাগাদ। দুপুর ২টো নাগাদ কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে এসএসকেএমের পথে রওনা হয় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। বিমানবন্দরে উপস্থিত তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এসএসকেএমে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী।”
শনিবার রাত ২টো নাগাদ নিজের বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। তড়িঘড়ি তাঁকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর ‘মেজর হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে। তাঁকে একটি জীবনদায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। এর পরেই মন্ত্রী স্থিতিশীল রয়েছে বলে নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়। সেই সঙ্গে ‘অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি’র জন্য তাঁকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁর পরিবার সে ব্যাপারে উদ্যোগী হন। সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের জেলা নেতা এবং মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা তিনিই করবেন। তাঁর পরামর্শ মেনেই এ দিন এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় রবি বাবুকে। ওই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেই তাঁর সঙ্গে যান ছেলে পঙ্কজ ঘোষ এবং ছোট জামাই দেবর্ষি দে সরকার। কলকাতায় রওনা হওয়ার আগে পঙ্কজ জানান, ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন রবিবাবু। কিন্তু এখনই প্রয়োজন অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফির। কোচবিহার বা শিলিগুড়িতে সেই ব্যবস্থা ঠিকঠাক নেই। সে কারণেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এসএসকেএমে নিয়ে যেতে বলেছেন।” মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও ফোনে পঙ্কজকে জানিয়েছেন, চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই দফায় তৃণমূলের বিধায়ক-নেতারা গিয়েছেন নার্সিংহোমে। বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, জগদীশ বসুনিয়া থেকে পার্থপ্রতিম রায়, আব্দুল জলিল আহমেদ, অভিজিৎ দে ভৌমিকরা দীর্ঘ সময় নার্সিংহোমে ছিলেন। তাঁরা বিমানবন্দরেও যান। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও এ দিন নার্সিংহোমে যান। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার সহ পুলিশ আধিকারিকরাও নার্সিংহোমে যান। এ দিন রবীন্দ্রনাথের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ট্রেনে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। দমদম বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ। সেখানে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স নামতেই রবীন্দ্রনাথকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। বিধায়ক হিতেন বর্মণ বলেন, “আজ মুখ্যমন্ত্রীর সভা। রবিবাবু সবাইকে থাকতে বলেছেন।”