প্রতীকী ছবি।
যাত্রী-ভর্তি বিমান নিয়ে কলকাতায় নামছিলেন মায়ানমার এয়ারের পাইলট। বিমানের সামনে একটি ড্রোন উড়তে দেখে বেজায় ঘাবড়ে যান তিনি। বিষয়টি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে জানান ওই পাইলট। ১২ অগস্ট বিকেলের ওই ঘটনা নিয়ে হইচই হয় বিস্তর।
গত কয়েক মাসে দিল্লি, মুম্বই বিমানবন্দরেও বেশ কয়েক বার নামার সময় যাত্রিবাহী বিমানের সামনে চলে এসেছে ড্রোন। বিমানের সঙ্গে ছোঁয়া লাগলে কয়েকশো যাত্রীর জীবনহানি অবধারিত। তাই কড়া নির্দেশ পাঠায় কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক। ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বলা হয়, ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়ম চালু হবে। এ বার সেই নতুন নিয়মে ভারতের আকাশকে লাল, হলুদ, সবুজ— তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মানচিত্রে লাল চিহ্নিত অংশে কোনও ড্রোনকেই ওড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। হলুদ এলাকায় উড়তে গেলে মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে। আর সুবজ এলাকায় উড়তে গেলে শুধু জানালেই হবে। তবে হলুদ ও সবুজ উভয় ক্ষেত্রেই ড্রোন ওড়ার আগে ‘ফ্লাইট প্ল্যান’ জমা দিতে হবে। যার অর্থ, ড্রোন কখন উড়বে, কত ক্ষণ উড়বে, কোনও এলাকায় উড়বে এবং কত উচ্চতায় উড়বে— তার সবিস্তার তথ্য জমা দিতে হবে। ড্রোন কেনার জন্য অনুমতি, ওড়ানোর জন্য লাইসেন্স নিতে হবে। বিয়েবাড়িতে ব্যবহার্য ছোট ড্রোন ৫০ ফুটের উপরে ওড়ে না। তাই তাদের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা থাকছে না। এই বিষয়ে এটিসি অফিসারদের প্রশিক্ষণ হয়েছে বলে বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর।
ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দিতে বিমান মন্ত্রক একটি ‘ডিজিটাল স্কাই প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করেছে। সেটি ১ ডিসেম্বর চালু হয়েছে। যিনি ড্রোন ওড়াতে চাইবেন, তিনি ওই প্ল্যাটফর্মে গিয়ে অনুমতি চাইলেই তাঁকে দেখিয়ে দেওয়া হবে কোনটি লাল এলাকা, কোনটি হলুদ এবং কোনটি সবুজ। মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, ‘‘বড় বিমানবন্দরের পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকা জুড়ে ড্রোন ওড়ানোর যে-নিষেধাজ্ঞা ছিল, মোটামুটি তা-ই বলবৎ থাকছে। যে-সব এলাকায় বিমান ৪০ হাজার ফুট উপর দিয়ে যায়, সেটি সবুজ। আর মাঝখানের এলাকা হলুদ বলে চিহ্নিত।’’
বিমানবন্দরের চৌহদ্দি ছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমান্ত, রাষ্ট্রপতি ও সংসদ ভবন, সেনা ছাউনির মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।