DYFI Brigade Rally

ক্যামেরা, ড্রোন, পিসিআর, বাম ব্রিগেডের সমাবেশ সামলাচ্ছে পেশাদার সংস্থা

এত দিন ছোট ছোট ভাবে নিজেদের উদ্যোগেই তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এসেছে সিপিএম। তবে এ বার তার ব্যাপ্তি অনেকটা। সমাবেশটি কভার করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি পেশাদার সংস্থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৮
Share:

ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশে মঞ্চের পাশে অস্থায়ী পিসিআর। নিজস্ব চিত্র।

পুরোপুরি প্রযুক্তিগত ভাবে ব্রিগেডের সমাবেশকে সাজিয়ে তুলেছে সিপিএমের তথ্যপ্রযুক্তি সেল। ড্রোন থেকে শুরু করে পিসিআর, জিমি জিব ক্যামেরা ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে রবিবারের ব্রিগেডে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ‘ইনসাফ সমাবেশ’-এ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই প্রচারের জন্য সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করছে সিপিএম। তবে কোনও সমাবেশে এ ভাবে আগে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তাই ব্রিগেডের সমাবেশে এ বার তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও ভাল ভাবে ব্যবহার করছে বামেরা।

Advertisement

সকাল থেকেই এই সমাবেশকে ঘিরে একটা উন্মাদনা রয়েছে ব্রিগেডে। শয়ে শয়ে কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশে হাজির হয়েছেন। এত দিন ছোট ছোট ভাবে নিজেদের উদ্যোগেই তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এসেছে সিপিএম। তবে এ বার তার ব্যাপ্তি অনেকটা। গোটা সমাবেশটি কভার করার জন্য এ বার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি পেশাদার সংস্থাকে। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে থাকবে রাজ্য সিপিএমের আইটি সেলের মাথাদের হাতে।

রবির ব্রিগেড সমাবেশ কভার করার জন্য মূলমঞ্চের বাঁ দিকে রয়েছে অস্থায়ী পিসিআর। সেখানে সাতটি ল্যাপটপ থেকে গোটা সমাবেশের উপর নজর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়াও এই সমাবেশ কভার করার জন্য আনা হয়েছে ছ’টি ক্যামেরা, একটি জিমি জিব ক্যামেরা। আকাশ থেকে নজরদারি চালানোর জন্য আনা হয়েছে উন্নত মানের একটি ড্রোনও। ক্যামেরায় দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা মাঠের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সমাবেশ কভার করছেন। অস্থায়ী পিসিআর থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে তাঁদের কাছে নির্দেশ যাচ্ছে। পরিকাঠামোর জন্য পেশাদার সংস্থাকে এক দিনের জন্য ভাড়া দেওয়া হলেও, এই সমাবেশের গোটাটাই নিয়ন্ত্রণ করছে আইটি সেল।

Advertisement

সিপিএম সূত্রে খবর, সমাবেশ কভার করতে যে তথ্যপ্রযুক্তির পরিকাঠামো ব্যবহার করা হচ্ছে, যার খরচ কমবেশি দু’লক্ষ টাকা। দলে আইটি সেল নিয়ে যাঁরা কাজকর্ম করেন, তাঁদের ঠিকমতো কাজে লাগানো হত না বলে দলের অন্দরে এ নিয়ে একটা অভিযোগও ছিল। তবে মহম্মদ সেলিম সম্পাদক হওয়ার পর এই ক্ষেত্রের উপর জোর দেওয়া হয়। আমূল পরিবর্তন আসে। যার প্রতিফলন দেখা গেল রবিবারের এই ব্রিগেড সমাবেশে।

গত বছরের ডিসেম্বরেও ‘আকাশ ছোঁয়া’র স্বপ্ন দেখেছিলেন যাদবপুর অঞ্চলের সিপিএমের যুবরা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িতও করেছিলেন তাঁরা। গড়িয়া মিতালি সঙ্ঘের মাঠ থেকে যাদবপুর এইটবি বাস টার্মিনাস পর্যন্ত ইনসাফ যাত্রার সমাপ্তি মিছিলের ছবি তোলা হয় ড্রোন ভাড়া করে। একেবারে পেশাদারি কায়দায় সামাজমাধ্যমে সমাপ্তি মিছিলের ‘লাইভ কভারেজ’ করতে উদ্যোগী হয়েছিল সিপিএমের যুব সংগঠন। এই ‘কভারজের’ জন্য অর্থের সংস্থান ছিল না তাদের। তবে ফেসবুকে পোস্ট করে রাতারাতি সেই টাকা জোগাড় করে আকাশ থেকে ছবি তুলে নিজেদের ‘শক্তি’ দেখায় তারা। যাদবপুর থেকেই যে ‘আকাশ ছোঁয়া’র স্বপ্ন দেখেছিলেন সিপিএমের যুবরা, ব্রিগেডের সমাবেশে সেই স্বপ্নকে আরও বাস্তবায়িত করে তুললেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement