ছবি: সংগৃহীত।
বছরের শেষ দিনে রাজ্যের ৯৩টি পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনে তা প্রকাশ করা যায়নি।
ওয়ার্ড সংরক্ষণের কাজকর্মের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন করেছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। তাদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে কমিশন। ১৭ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশের নতুন দিন ধার্য হয়েছে বলে কমিশন এবং জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। সে-ক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই খসড়ার বিষয়ে আপত্তি ও দাবি জানানোর সুযোগ পাবে আমজনতা। সেগুলো খতিয়ে দেখে ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা। তা প্রকাশ করার জন্য জেলাশাসকদের অধিকার দিয়েছে কমিশন। জেলাশাসকেরা কমিশনের সম্মতি নিয়ে ওই তালিকা প্রকাশ করবেন। সাধারণ ভাবে ওয়ার্ড সংরক্ষণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের পাঠানো প্রস্তাবকেই মান্যতা দিয়ে থাকে কমিশন। প্রয়োজনে অবশ্য রদবদলও করতে পারে তারা।
ওয়ার্ড সংরক্ষণ ও পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে অন্যান্য পুরসভার তালিকা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। কলকাতার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের উপরে। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে ওই জেলা প্রশাসন আপাতত খুবই ব্যস্ত। তাই কয়েক দিন পরে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করেছে তারা। নিয়ম অনুসারে খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন থেকে ১০ সপ্তাহ পরে পুর নির্বাচন হতে পারে।
আরও পড়ুন: অনাদরে হারিয়ে যাচ্ছে বিনয়ের বহু স্মৃতিই
২০২০ সালের মে-জুনে রাজ্যের ৯১টি পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরোবে। অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হবে বিধাননগর ও আসানসোল পুরসভার। দার্জিলিং পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ড নেই। সেখানে দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করছেন প্রশাসক। ২০১৮ সালেই হাওড়া-সহ ১৭টি পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই সব ক্ষেত্রেও প্রশাসকেরা দৈনন্দিন কাজ দেখশোনা করছেন। সব মিলিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যের ১১২টি পুরসভার ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বোলপুর ও সিউড়ি পুরসভায় দু’টি করে ওয়ার্ড বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড ভাঙা-জোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দুই পুরসভায় বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকাও যুক্ত হচ্ছে। ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া শেষ করে ৩ জানুয়ারি তা কমিশনে পাঠানোর কথা বীরভূম জেলা প্রশাসনের। তার পরে ওই দুই পুরসভায় ওয়ার্ড সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কমিশন।