খরিফ চাষের জন্য জল দিতে পারবে না, রাজ্যকে জানাল ডিভিসি

মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারে জল নেই। ফলে খরিফ চাষের জন্য ডিভিসি জল দিতে পারবে না। সম্প্রতি সংস্থার পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:২২
Share:

মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারে জল নেই। ফলে খরিফ চাষের জন্য ডিভিসি জল দিতে পারবে না। সম্প্রতি সংস্থার পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

অগস্ট মাসের পর থেকে রাজ্যে বৃষ্টি কম হয়ার জন্যই ডিভিসির-র জলাধারগুলিতে জল নেই। যা জল রয়েছে তা পানীয় জল সরবরাহ-সহ অন্যান্য কাজে ডিভিসি-কে ব্যবহার করতে হবে। ফলে এখন সেচের জন্য বাড়তি কোনও জল জলাধারগুলিতে নেই। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ডিভিসি-র কাছ থকে জল চাওয়া হচ্ছে।

ডিভিসি-র এক কর্তা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর বর্ষার মরশুমে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসেও ভাল বৃষ্টি হয়। ফলে বর্ষার সময় আমন ধান চাষের জন্য জল দেওয়ার পরেও ডিভিসি-র জলাধারগুলি ভরা থাকে। শীতের সময় আলু-সহ অন্যান্য চাষের জন্যও ডিভিসি জল ছাড়তে পারে। কিন্তু এ বছর একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটেছে। ডিভিসি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, এ বছর ৪ অগস্টের পর থেকে রাজ্যে সেইভাবে বৃষ্টিপাত হয়নি। তার উপর বর্ষার মরশুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় রাজ্য সরকার পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে বিভিন্ন সময়ে ৩৫ হাজার কিউসেক জল নিয়ে নিয়েছে। ওই সময় ঝাড়খন্ডের তেনুঘাট জলাধার থেকেও রাজ্য প্রায় ১৫ হাজার কিউসেক জল কিনেছিল। সেই জল ছাড়া পর এখন জলাধারগুলিতে সেচের জন্য জল নেই বলেই ওই কর্তা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তেনুঘাট থেকেও যে নতুন করে রাজ্য সরকার জল কিনবে, তারও কোনও উপায় নেই। কার সেখানকার জলাধারগুলিতেও জল নেই।’’

Advertisement

কৃষিমনন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘ডিভিসি থেকে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও জল নেই। ফলে চাষের জল পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।’’ রাজ্য কৃষি দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই মরশুমে তাঁরা কৃষিকদের বিকল্প চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন। যে সমস্ত চাষে জল কম লাগে, সেই ধরনের ফসল ফলানোর জন্য তাঁরা ব্লকে ব্লকে প্রচার চালাচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement