কয়েক দিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দলের নেতা-কর্মীদের বলেছিলেন, পুলিশের উপর নির্ভরতা কমাতে। মঙ্গলবার বর্ধমানের তৃণমূলের বিধায়কদেরও একই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্ধমানে এ বার লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ফল সন্তোষজনক হয়নি। তিনটি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে তৃণমূল। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে তৃণমূলের বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও কেন বাকি দু’টি আসন বিজেপির দখলে গিয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ দিনের বৈঠকে। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে যে ভাবে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য ছাড়াই ওই জেলায় তৃণমূল নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছিল, এখনও সেই ভাবেই বিজেপি মোকাবিলায় ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
বর্ধমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলের সাংগঠনিক ক্ষতি হচ্ছে বলে এর আগে বেশ কয়েক বার তৃণমূল নেত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর হুঁশিয়ারিতে কোনও সুরাহা হয়নি। এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ঘরে দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকেও ঘুরেফিরে এসেছে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই। মমতা এ দিন বিধায়কদের জেলার নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমর রামের গোলমালও মিটিয়ে নিতে বলেছেন মমতা। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না বাড়িয়ে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দেন দলনেত্রী। নতুন করে জেলা কমিটি তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই কমিটিতে যাতে জেলায় দলের সব শাখা সংগঠনের প্রতিনিধি থাকেন, সে দিকেও খেয়াল রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন।
চাকদহ এবং বীরনগর পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে স্থানীয় বিধায়ক, পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিধানসভায় বৈঠক করেন নদিয়ার দলীয় পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একের পর এক পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হওয়ায় অবিলম্বে তা বন্ধ করে সকলকে মিলেমিশে রাজীব কাজ করতে বলেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।