বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
বিধায়ক,মন্ত্রীদের বেতনবৃদ্ধির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশনের এক দম শেষে, ভোটাভুটির পর মমতা জানান, বিধায়ক মন্ত্রীদের ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি পেল। ঘোষণার পরে রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দাঁড়াল ৫০ হাজার টাকা, প্রতিমন্ত্রীদের ৫০ হাজার ৯০০ টাকা এবং পূর্ণমন্ত্রীদের ৫১ হাজার ১০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেতন না নিলেও বর্ধিত বেতনটি নথিবদ্ধ রাখার কথা বলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সঙ্গীত এবং রাজ্য দিবস নিয়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের আনা প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়। প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ১৬৭টি ভোট। বিপক্ষে ৬২টি ভোট। যদিও ভোটাভুটির পরই বিধানসভার কক্ষত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়কেরা। পরবর্তী অধিবেশন ৪ ডিসেম্বর।
অধিবেশনের শেষ লগ্নে অধুনা প্রস্তাবিত রাজ্য সঙ্গীত সমবেত কন্ঠে গেয়ে ওঠেন শাসকদলের বিধায়কেরা। গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলেও ১ বৈশাখ দিনটিই ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। বিধানসভায় এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কে কে সমর্থন করবে জানি না, কিন্তু আমাদের নির্দেশ থাকবে ওই দিনই বাংলা দিবস হিসাবে পালন করার।” মুখ্যমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখতে উঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না রাজ্যপাল।” এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যের নাম বদল, বিধান পরিষদ গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবের কথাও উল্লেখ করেন। ঘটনাচক্রে, এই প্রস্তাবগুলি পাশ করানো হলেও এখনও চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যপালের অনুমোদন না পেলেও সরকারের সিদ্ধান্ত বদলাবে না।
কেন রাজ্যের জন্য বাংলা দিবস হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অন্য রাজ্যগুলির প্রতিষ্ঠা দিবস উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“স্বাধীনতায় অংশ না নিলেও অনেকে স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছেন।” নাম না করে বিরোধী দল বিজেপিকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে প্রস্তাব পাশ করানো হলেও তা রাজ্যপালের অনুমোদন পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলা দিবস উদযাপন করলেই কি দুনীতি বন্ধ হবে? মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পাবেন সরকারি কর্মচারীরা? প্রশ্ন তুললেন নওশাদ সিদ্দিকি।
বাংলা দিবস করা হোক ১৬ অক্টোবরকে। বাংলা দিবস সংক্রান্ত আলোচনায় যোগ দিয়ে এমনই দাবি তুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। উল্লেখ্য, ওই দিনই বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।
২০ জুন ছাড়া অন্য দিনকে বাংলা দিবস হিসাবে ভাবা সম্ভব নয়। ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা চলছে, মন্তব্য বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের।