শিল্প আসছে না বলে রাজ্যে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত এবং—অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কোন কাজে লাগবে, বুধবার বিরোধী-কটাক্ষে সে প্রশ্ন উঠল রাজ্য বিধানসভায়।
কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা জানতে চান, শিল্পই যেখানে আসছে না, সেখানে রাজ্য উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ নিয়ে কী করবে? তাঁর টিপ্পনী, ‘‘চানাচুর, তেলেভাজা-শিল্প আছে, আছে বোমা-শিল্পও। কিন্তু তাতে তো বিদ্যুৎ লাগে না।’’ বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘রাজ্যে বড় শিল্প আসছে না। চি়ঁড়ে-মুড়ি কলে বিদ্যুৎ লাগে না। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কী কাজে লাগবে?’’
শিল্প ও কৃষির ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন বিদ্যুৎ সচিব সুখবিলাসবাবু দাবি করেন, এ রাজ্য বিদ্যুতের ব্যবহারে বেশ পিছিয়ে। বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত বলেন, ‘‘শিল্প আসেনি বলে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত, এ কথাটা ভুল।’’ তাঁর দাবি, মাঝারি ও ক্ষুদ্রশিল্পে ইতিমধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। রাজ্যে দৈনিক ২৫০-৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত। মন্ত্রী বলেন, ‘‘১০টি বড়শিল্প এলেও বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকবে।’’ তবে বিরোধীদের দেওয়া পরিসংখ্যান সম্পর্কে বিদ্যুৎমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘বিদ্যুৎ ব্যবহারে আমরা পিছিয়ে থাকলে এগোতে হবে।’’
লো-ভোল্টেজের সমস্যা মেটাতে নতুন সাবস্টেশন দরকার বলে দাবি সুখবিলাসবাবুর। বিদ্যুৎমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমরা চার বছরে ৮২টা সাবস্টেশন তৈরি করেছি।’’ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বেও গ্রামাঞ্চলে লো-ভোল্টেজের সমস্যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিদ্যুৎমন্ত্রীকে।
সিপিএমের সমরেন্দ্র দাসের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাম আমলে গ্রামীণ এলাকায় বেশি সাবস্টেশন তৈরি করা হয়নি বলে এখন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।