সে দিন শ্যামবাজারের সভায় অধীর চৌধুরী ও রানা রায়চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে ‘ব্যথিত’ হলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে তাঁর ‘যন্ত্রণা’ প্রশমিত হয়েছে বলে জানালেন উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি রানা রায়চৌধুরী। তবে জেলা সভাপতি পদে ইস্তফা তিনি ফেরত নিচ্ছেন না। রানার মতে, এই বয়সে চাপ নিতে পারছেন না। তাই পদে না-থেকেই দলের কাজ করবেন। আর জি কর-কাণ্ডে প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে গত ২৯ অগস্ট মিছিলের পরে শ্যামবাজারের সভায় মাইক বদল করতে গিয়ে রানাকে ‘সরে যান’ শুনতে হয়েছিল অধীরের কাছে। দলের বাইরে এবং ভিতরে নানা অংশ সেই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিল।
তবে রানা সোমবার বলেছেন, ‘‘শ্যামবাজারের ঘটনা প্রকাশ্যেই ঘটেছিল। তার পরে আনন্দবাজার পত্রিকায় দেখেছি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, তিনি দুঃখপ্রকাশ করতে রাজি। এটাও তো প্রকাশ্যেও এল। এর পরে অভিমানের জায়গা থাকে না।’’ বর্ষীয়ান নেতার সংযোজন, ‘‘অনেকে একটা ঘটনাকে সামনে রেখে নানা প্রচার করছিলেন। আমার বয়স এবং চাপের কারণে জেলা সভাপতির পদে থাকতে অপারগ হলেও আমি মনে করি, অধীরবাবু যে রকম পরিশ্রম করে দল চালাচ্ছেন, তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই।’’