ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগতপ্রকাশ নাড্ডা রায়গঞ্জে এসে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন! ওই ঘটনার কুড়ি দিনের মাথায় শুক্রবার শহরে এসে রায়গঞ্জ বা উত্তরবঙ্গের যে কোনও জায়গায় এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গত ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়প্রকাশবাবু রায়গঞ্জে এসে দাবি করেছিলেন, রায়গঞ্জে আপাতত এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কোনও সম্ভাবনাই নেই। কল্যাণীতে ওই হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আগে কল্যাণীতে হাসপাতালটি তৈরি হোক, পরে রায়গঞ্জের বিষয়টি ভাবা যাবে। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের বিষয়ে দিলীপবাবুর যুক্তি, ‘‘দেখুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কী বলেছেন, তা আমার জানা নেই। তবে কল্যাণীর পাশে কলকাতায় বহু বড় হাসপাতাল রয়েছে। উত্তরবঙ্গ তথা উত্তরপূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের উন্নত চিকিত্সার স্বার্থে কল্যাণীর থেকে উত্তরবঙ্গে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে দল মনে করে।’’ এ দিন রায়গঞ্জের চণ্ডীতলা মাঠে দলের জনজাগরণ যাত্রা সমাবেশে যোগ দেন দিলীপবাবু। ওই সভায় আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয় থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বিজেপি চায় রায়গঞ্জ বা উত্তরবঙ্গের কোথাও প্রয়োজনীয় জমি থাকলে রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে হস্তান্তর করুক। কেন্দ্র সেখানেই গড়ে তুলুক ওই হাসপাতাল। শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতেও সরকারি জমি পড়ে রয়েছে। সেখানেও এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়ে উঠতে পারে।
ওই সভায় বিজেপির রাজ্য কমিটির দুই সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও শঙ্কর চক্রবর্তী বক্তৃতা দেন।
এদিনের সভায় আরএসপির প্রাক্তন উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক জ্যোতিষ সরকার, জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির প্রাক্তন ও বর্তমান একাধিক সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। দিলীপবাবু দাবি করেন, রায়গঞ্জ-কলকাতা পর্যন্ত দিনের বেলায় ট্রেন চালু, কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর রেলপথ তৈরি, রাধিকাপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশগামী ট্রেন চালু সহ রেলের সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।