—ফাইল চিত্র
চলমান কৃষক প্রতিবাদের সমর্থনে সংহতি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বিদ্বজ্জন ও সংস্কৃতি জগতের একাংশ। কৃষকদের আন্দোলন এবং ওই সমাবেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিলেন শঙ্খ ঘোষ। এবং সঙ্গে সঙ্গে শঙ্খবাবুদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে আসরে নেমে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ! সদ্যই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্পর্কে কুমন্তব্য করে যিনি সর্বজনীন নিন্দায় বিদ্ধ হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে কাল, রবিবার ব্যারাকপুরে সুকান্ত সদনে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করছেন নাট্যকার চন্দন সেনেরা। দল-মত নির্বিশেষে সব মানুষকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উদ্যোক্তাদের পাঠানো বার্তায় এ দিন শঙ্খবাবু বলেছেন, ‘রাষ্ট্রশক্তির চাপিয়ে দেওয়া সর্বনাশা কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে গোটা দেশের কৃষক সমাজ কিছু দিন ধরে এক দুঃসাহসিক আন্দোলনে রত। রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে, নেতা-কর্মী ছাত্র-যুবা শিল্পী-সাহিত্যিকদের সঙ্গে মিলিত ভাবে আমিও চাই যে, সর্বতো ভাবে সফল হোক এই আন্দোলন’। তবে ওই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানানোর জন্য যে ‘জরুরি’ সমাবেশ হচ্ছে, ‘শারীরিক বিকলতা’র কারণে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সেখানে উপস্থিত হতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন শঙ্খবাবু। আন্দোলনের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন নাট্য-ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীও।
বিশিষ্ট জনেদের এই পদক্ষেপের কথা জেনেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই সব লোকেদের ছবি অনেক দিন আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখিনি। তাঁরা ছবি তুলতে চাইছেন! তাঁদের যদি মনে হয়, নতুন কৃষি আইন কৃষক-বিরোধী, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের কেন রাস্তায় নামার প্রয়োজনীতার কথা বোঝাচ্ছেন না? তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলুন না! দিল্লি গিয়ে ছবি তুলছেন কেন?’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘কৃষকেরা মোদীর উপরে ভরসা রাখেন এবং মোদী গরিবের স্বার্থে কাজ করেন। যাঁরা ছবি তোলার জন্য এটা করতে চাইছেন, তাঁরা এটা না করলেই ভাল হবে। কারণ, পরবর্তী কালে ওঁদের কিন্তু মানুষকে জবাব দিতে হবে।’’
কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৫ জানুয়ারি শহরে ৮টি মিছিলের ডাক দিয়েছে কলকাতা জেলা সিপিএম। গোলপার্ক, ধাপা, উল্টোডাঙা, শোভাবাজার, মহাজাতি সদন, খিদিরপুর মোড়, শৈলশ্রী সিনেমা হল এবং বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই দিন মিছিল শুরু হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নববর্ষের দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহর-সহ কৃষিপ্রধান জায়গায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করেছেন এসইউসি-র কর্মী-সমর্থকেরা।