—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ‘অনুরোধে’ তিনি দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার তাঁর দাবি, ‘‘মহুয়ার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়। অন্য কথার ফাঁকে তিনি আমাকে তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দেবশ্রী মনোকষ্টে আছেন। আমি যেন দেখা করি।’’ যদিও মহুয়ার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? দিলীপবাবু রসিক মানুষ। উনি রসিকতা করে থাকলে আমি কী করতে পারি!’’
গত বৃহস্পতিবার দিলীপবাবুর সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে দেবশ্রী দেখা করেন। তার পরে রায়দিঘির বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘‘দেবশ্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। দলে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে ওঁর যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
বিজেপি সভাপতির সঙ্গে দেখা করে এলেও তৃণমূলে এখনও ‘অধরা’ দেবশ্রী। তাঁর সঙ্গে ফোন সুইচড অফ। বিধানসভা চললেও বিজেপি-পর্বের পর থেকে সেখানেও গরহাজির দেবশ্রী। আর দেবশ্রীকে বিজেপিতে নেওয়া হতে পারে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ইঙ্গিত পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ক্ষোভে শোভনকেও তিনি শরিক করেছেন। আপাতত তাঁরা বিজেপিতে থাকবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে মহুয়াই প্রথমে দিলীপবাবুকে ফোন করেন। তখন সেই ফোন ধরতে না পেরে দিলীপবাবুই পরে মহুয়াকে ফোন করেন। সেই ফোনে দেবশ্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য মহুয়া তাঁকে অনুরোধ করেন বলে দিলীপবাবুর দাবি। যদিও মহুয়ার দাবি, লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার সময় থেকে তাঁর সঙ্গে দেবশ্রীর আর কোনও যোগাযোগ নেই।
মহুয়ার অনুরোধের কথা প্রকাশ্যে আসায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মহুয়া সাংসদ। ওঁর ব্যাপারে যদি কিছু করার বা বলার থাকে, তা সংসদীয় দলই বুঝবে।’’