দিলচাঁদ সিংহ। ফর্টিস হাসপাতালে, মঙ্গলবার।- নিজস্ব চিত্র।
নতুন হৃদযন্ত্র নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ঝাড়খণ্ডের শিক্ষক দিলচাঁদ সিংহ। চিকিৎসকদের পরামর্শে এখন জল, খাবার খাচ্ছেন। আইসিইউ থেকে তাঁকে একটি আলাদা ঘরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখন আর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কোনও সমস্যাই হচ্ছে না দিলচাঁদের। এমনকী, হাসপাতালের মধ্যেই প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটাচলাও করছেন ঝাড়খণ্ডের এই শিক্ষক। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূ্ত্রে খবর।
বেঙ্গালুরুতে দুর্ঘটনায় মৃত ডি কে বরুণের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয় দিলচাঁদের শরীরে। কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালে সফল অপারেশনের পর প্রতি দিনই একটু একটু করে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। দিলচাঁদ এখন অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন ফর্টিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, দিলচাঁদের সঙ্গে হাসপাতালে প্রতি দিন তাঁর পরিবারের যে কোনও দু’জন দেখা করতে পারবেন।
চিকিৎসক কে এম মান্দানা বলেন, ‘‘অপারেশনের পর আজ ৮ দিন হতে চলেছে। অনেকটাই সুস্থ দিলচাঁদ। তাঁকে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে আর আইসিইউ-তে রাখার প্রয়োজন নেই। ডায়েট চার্ট মেনেই ওঁকে খাবারদাবার দেওয়া হচ্ছে। কথাবার্তাও বলছেন। আরও এক সপ্তাহ হাসপাতালে ওঁর চিকিৎসা চলবে। তার পরই ওঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন- সিগারেট খেয়ে চার ঘণ্টা বাচ্চার কাছে যাবেন না
আরও পড়ুন- দ্রুত ওজন কমাতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সব্জির জুস
দিলচাঁদকে সুস্থ করে তোলার কাজটা কিন্তু খুব সহজ ছিল না। অপারেশনের দিন বেলা ১২ টা নাগাদ বেঙ্গালুরু থেকে হৃৎপিণ্ড ‘এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’-এ চাপিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে পুলিশ, প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রিন করিডরের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১৮ মিনিটে ফোর্টিস হাসপাতালে পৌঁছে যায় ডি কে বরুণের হৃদযন্ত্র।
কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক তাপস রায়চৌধুরী, সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, কে এম মান্দানা এবং চেন্নাই ফোর্টিসের কে আর বালাকৃষ্ণন এবং সুরেশ রাওয়ের মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকদের চেষ্টায় তিন ঘণ্টার মধ্যে সেই অপারেশন সফল হয়। ওই অপারেশন পূর্ব ভারতে প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের ইতিহাসও গড়ে ফেলে।