Dhupguri By-Election

মঙ্গলে ভোট ধূপগুড়িতে, বিজেপির লড়াই ‘ধরে রাখা’, ছিনিয়ে নিতে মরিয়া শাসক, ময়দানে জোটও

২০২১-এ বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর মৃত্যুর কারণেই উপনির্বাচন হচ্ছে। প্রচারের শেষ দিন নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় যোগ দেন বিজেপিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাত পোহালেই উপনির্বাচন ধূপগুড়িতে। বিজেপির লড়াই আসন ধরে রাখার। রাজবংশী অধ্যুষিত আসন ছিনিয়ে নিতে তৃণমূল কার্যত সর্বশক্তি ঢেলে দিয়েছে। অন্য দিকে রয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থীও। সকাল ৭টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ধূপগুড়িতে মোট বুথ ২৬০টি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের এই বিধানসভায়।

Advertisement

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর মৃত্যুর কারণেই উপনির্বান হচ্ছে এই কেন্দ্রে। বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে কাশ্মীরে নিহত জওয়ানের স্ত্রী কাকলি রায়কে। তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন অধ্যাপক নির্মলচন্দ্র রায়। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভাওয়াইয়া গানের শিল্পী তথা শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র রায়। উল্লেখ্য, তিন জনই রাজবংশী সম্প্রদায়ের।

সাধারণত উপনির্বাচনে শাসকদলই জেতে। কারণ, এই ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার বদলের অবকাশ থাকে না। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচন বাংলায় সেই ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে। ধূপগুড়িতে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির তরফে সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা একাধিক দিন সেখানে সময় দিয়েছেন। আবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যৌথ প্রচারও সেরেছেন ধূপগুড়িতে।

Advertisement

প্রচারের শেষ দিন অর্থাৎ রবিবার নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় ধূপগুড়িতে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় যোগ দেন বিজেপিতে। শনিবার মিতালি উপস্থিত ছিলেন অভিষেকের সভামঞ্চেও। যা তৃণমূলের মধ্যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের অনেকের। যদিও শাসকদল প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার কর‌ছে না। তৃণমূলের একটা অংশ আবার মিতালির দলত্যাগে ক্ষতি তো দেখছেনই না, উল্টে লাভ দেখছেন। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘মিতালিকে প্রার্থী না-করার নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে দলের দিক থেকে। তাঁর সম্পর্কে যে ধারণা জনমানসে তৈরি হয়ে রয়েছে, তা বিজেপিরই বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেবে।’’ এমনিতে ২০১৯ সালের লোকসভা থেকেই উত্তরবঙ্গে বিজেপি মাথা তুলেছে। বিধানসভাতেও তাদের ফল ছিল নজরকাড়া। তবে অনেকের মতে, লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি আসন জিতেছিল বিজেপি। জয়ন্ত রায় ধূপগুড়িতে ‘লিড’ পেয়েছিলেন ১৭ হাজারের বেশি ভোটে। সেই মার্জিন ২০২১ সালে কমে এসেছিল সাড়ে চার হাজারে। রাজনৈতিক মহলের অনেকে এটাকে বিজেপির সমর্থনের ক্ষয় হিসাবে দেখছেন।

ধূপগুড়িতে শেষ হাসি হাসবে কে, তা স্পষ্ট হবে ৮ সেপ্টেম্বর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement