Visva Bharati University Plaque

শনিবারেও ধর্না জারি তৃণমূল কর্মীদের, ফলক থেকে রবি ঠাকুরের নাম সরানো নিয়ে এখনও নীরব বিশ্বভারতী

শুক্রবার সকাল থেকে শান্তিনিকেতনের কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে মঞ্চ বেঁধে রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে বেঁধে অবস্থান করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বীরভূম শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫৫
Share:

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বিশ্বভারতীর স্বীকৃতি-ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার থেকে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম কেন নেই, তা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন বিশ্বভারতীর রেক্টর তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সকালে শান্তিনিকেতনের কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে মঞ্চ বেঁধে রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে বেঁধে অবস্থান করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু বিশ্বভারতীর ফলকেই তাঁর নাম নেই। বিশ্বভারতীতে এই ফলক-প্রথা কোনও দিন ছিল না। ফলক না সরলে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।’’

Advertisement

শনিবারও ওই মঞ্চে আন্দোলন হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি-ফলক বিতর্কে পিছু হটেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। চাপের মুখে কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ফলক অস্থায়ী ভাবে বসানো হয়েছে। ভবিষ্যতে তা সরিয়ে দেওয়া হবে। যদিও কবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামহীন ফলক সরানো হবে, কবে তাঁর নামাঙ্কিত ফলক ফিরিয়ে আনা হবে, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ভাবেও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।

বিশ্বভারতীকে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তার পরেই গত ১৯ অক্টোবর এই স্বীকৃতির একটি ফলক বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ফলকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথের নাম ফলকটির কোথাও নেই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বভারতীর ফলক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুক্রবার সকালের মধ্যে বিশ্বভারতীর ফলকে ফিরিয়ে আনতে হবে রবি ঠাকুরের নাম। তা না হলে আন্দোলনের পথে হাঁটবে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement