Dharmendra Pradhan

নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছেছে দুর্নীতি, দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের, পাল্টা তৃণমুলের

শনিবার কলকাতায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘সরস্বতীর মাটিতে শিক্ষাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৫
Share:

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র।

মাঝে যত লোকই থাকুক, দুর্নীতি নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শনিবার কলকাতায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, ‘‘সরস্বতীর মাটিতে শিক্ষাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে যৌথ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধের নালিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘পিসি-ভাইপোর আলমারি ভরতে আর টাকা দেওয়া হবে না।’’ তৃণমূল অবশ্য দুর্নীতির পাল্টা অভিযোগে বিজেপি শাসিত রাজ্যের দিকে আঙুল তুলেছে।

Advertisement

বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার কর্মসূচিতে যোগ দিতে শুক্রবার রাতে শহরে আসেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র। তিনি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান যা-ই থাকুক, এই দুর্নীতি শেষ অবধি নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছেছে।” তাঁর সংযোজন, “বই, জুতো, মিড-ডে মিল, নিয়োগ, সবেতেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।”

ধর্মেন্দ্রের অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এই জ্ঞান উত্তরপ্রদেশে বিলি করলে পারতেন। সেখানে তো মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির বিপুল অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে ইডি অভিযান শুরু হয়েছে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘অন্যায় যদি কোথাও হয়ে থাকে, তার জন্য আদালত আছে, প্রশাসন আছে। বিজেপির কথা বলার মুখ নেই।’’

Advertisement

কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা নিয়েও পরস্পরকে বিঁধেছে বিজেপি ও তৃণমূল। এ ক্ষেত্রেও দুর্নীতির ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘হিসাব দিতে এদের এত সমস্যা কেন! হিসাব হলে তবেই পয়সা পাবে।” এ ক্ষেত্রেও বঞ্চনার অভিযোগ উড়িয়ে ধর্মেন্দ্র আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।

ধর্মেন্দ্রের উদ্দেশে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, ‘‘দুর্নীতির অভিযোগ মানছি না। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নিই, আমরা দুর্নীতি করেছি, তা বলে সাধারণ মানুষের টাকা আটকে দেবেন, সেটা হতে পারে? এই সব বুজরুকি করে লাভ নেই।’’ তাঁর খোঁচা, ‘‘দুর্নীতি করা রাজ্যের মানুষের থেকে কর আদায় করব না, সেটা তো বলেন না।’’

এ দিকে ডি এ নিয়ে এ দিন রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আদালত যখন বলেছে ডিএ কর্মচারীদের অধিকার, তখন সরকার বলছে, সঙ্কটে পড়ে যাবে। কী রকম সরকার চালাচ্ছেন যে সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে! যখন চালাতেই পারছেন না তখন কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিতভাবে দিয়ে দিন। কেন্দ্র টাকাও দেবে এবং সরকারও চালাবে।”

জবাবে কুণাল বলেন, ‘‘এ সব বড় বড় কথা না বলে রাজ্যের ন্যায্য পাওনা দিতে বলুন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement