অফিসে ঢুকে ভাঙচুর এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ওই পঞ্চায়েতেরই প্রধান, প্রাক্তন প্রধান-সহ ৪ জনকে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবার পাঠানখালি পঞ্চায়েতে। পুলিশ জানায়, ধৃত আরএসপি প্রধানের নাম তাপস কবি। অন্য জন হলেন পুরন্দয় ধাড়া। তিনি প্রাক্তন প্রধান। বিনয় মণ্ডল নামে পঞ্চায়েত এক সদস্যও ধরা পড়েছেন। গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই আরএসপির। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, ওই পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ওসিকান্ত মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঠানখালি এলাকায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ৩০-৪০ শতাংশ কাজ হলেও বেশি কাজের টাকা চাওয়া হয়েছিল পঞ্চায়েতের তরফে। কিন্তু এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ খতিয়ে দেখে বাড়তি টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানাননি। অভিযোগ, তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে ধুন্ধুমার বাধান প্রধান-সহ বাকিরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উদ্ধার করে পঞ্চায়েত কর্মীদের।
আরএসপি-র জেলা সম্পাদক চন্দ্রশেখর দেবনাথ বলেন, “আমাদের পঞ্চায়েত-সহ দলের নেতা-কর্মীদের অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে এটা করিয়েছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বকেয়া টাকা শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছিল না। সেই টাকা চাইতে গেলে এই চক্রান্ত করা হয়।”
গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর অবশ্য আরএসপি-র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “একশো দিনের কাজে ঠিক মতো কাজ না করেই বেশি টাকা চাওয়া হচ্ছিল। পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে মারধর, ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এর মধ্যে আবার তৃণমূল কোথা থেকে এল?” তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বদনাম করা হচ্ছে।
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু তরুণীর। পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের খাটগ্রামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তরুলতা আদক (১৮) নামে ওই তরুণীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। এ দিন সকালে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ফিরে এসে আত্মীয়েরা তরুলতাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বেশ খানিক ক্ষণ পরে বাড়ির কাছেই পুকুর ঘাটে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান ওই তরুণী। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান, অভিমানেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তরুলতা।