সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে জখম হলেন দু’পক্ষের সাত জন। গণ্ডগোল ঠেকাতে গিয়ে জখম হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি বাজারে রবিবার সকালে ওই সংঘর্ষ হয়। আহত তিন পুলিশ কর্মী টাবুল দেবনাথ, প্রসেনজিৎ রায় ও প্রণয় মিত্র। এঁদের মধ্যে প্রসেনজিতবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “গণ্ডগোল থামাতে পুলিশ গেলে তাদেরও আক্রমণ করা হয়। ইটের ঘায়ে তিন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হন। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন সিপিএম কর্মী এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ গোলাবাড়ি বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। জয়নগর কেন্দ্রে কোন প্রার্থী জিতবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী সেই সময় দোকানে ঢুকে তাঁদের হুমকি দিয়ে বলে এখানে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা চলবে না। দোকানও বন্ধ করে দেয় তারা। সিপিএমের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষে বচসা থেকে মারামারি বেধে যায়। চলতে থাকে পরস্পরের উপর ইটবৃষ্টি। বাজারে অদূরেই গোলাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্প। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও ইট বৃষ্টি হতে থাকে। ইটের ঘায়ে জখম হন তিন পুলিশ।
জয়নগর কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী আরএসপি-র সুভাষ নস্করের অভিযোগ, “তৃণমূল এই এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের কোনও দেওয়ালে লিখতে, পোস্টার মারতে দিচ্ছে না। এ দিন আমাদের কয়েকজন কর্মী চায়ের দোকানে বসে কথা বলছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপরে হামলা চালিয়ে মারধর করে তৃণমূলের লোকেরা। আমাদের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শক্তি মণ্ডলের পাল্টা অভিযোগ, “ওই এলাকায় সিপিএম, আরএসপি এবং এসইউসি জোট বেঁধে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করেছে। এতে ৪ জন কর্মী জখম হয়েছেন।”
এসইউসি প্রার্থী তরুণ মণ্ডল বলেন, “সিপিএম আর তৃণমূলের মারামারিতে আমাদের দলের নাম জড়িয়ে দিয়ে মিথ্যা বদনাম করতে চাইছে। দিন কয়েক আগে ওখানে প্রচারে গেলে তৃণমূলের লোকজন আমাদেরও বাধা দেয়। দলীয় কর্মীদের মারধর করে।”