গ্রেফতারের সময় সোনা বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হলেও, আদালতে পেশ করা নথির মধ্যে সেই সোনার ‘সিজার লিস্ট’ (বাজেয়াপ্ত করার নথি) নেই। গ্রেফতারির নথি ‘মেমো অব অ্যারেস্ট’-এ প্রত্যক্ষদর্শীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। গ্রেফতারি প্রক্রিয়ার এই বিষয়গুলি নিয়ে বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়লেন ডিআরআই (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স)-এর আধিকারিকেরা। এর পরেই শর্তাধীন জামিন পেলেন সোনা চোরাচালানে অভিযুক্ত আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও তাঁরই সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া গাড়িচালক মোকশেদ মোল্লা।
বুধবার বারিক এবং মোকশেদকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করানো হয়। সেখানে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বরূপ শেঠ দুই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী ফারুক এম রেজ্জাকের দাবি, ওই দু’জনের গ্রেফতারি প্রক্রিয়ায় গাফিলতি পেয়েছেন বিচারক। শনিবার বিকেলে পাঁচটি ব্যাগে মোট ২৯২টি সোনার বাট-সহ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থেকে বারিকদের ধরা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল ডিআরআই।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজাবীদের দাবি, বিধি অনুযায়ী গ্রেফতার করার সময় স্থানীয় কোনও বাসিন্দা বা পরিবারের কোনও সদস্যকে প্রত্যক্ষদর্শী করে, ‘মেমো অব অ্যারেস্ট’ নথিতে নাম উল্লেখ করে তাঁকে দিয়ে সই করাতে হয়। কিন্তু আদালতে জমা পড়া ‘মেমো অব অ্যারেস্ট’-এ প্রত্যক্ষদর্শীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। আদালতে জমা পড়েনি বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার ‘সিজার লিস্ট’ও। সরকারি কৌঁসুলি স্বপন নাগ এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সরকারি আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে জানান, অভিযুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার আবেদনও করা হয়। বিচারক শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, শর্তগুলি হল বারিক এবং মোকশেদকে প্রতি সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবার ডিআরআই কার্যালয়ে হাজিরা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ মার্চ।