স্ত্রীর মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের এসএমএস দেখে সন্দেহের বশে তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামীকে। ঊমির্লা দাস নামে ওই বধূর বাপের বাড়ির লোক যদিও পুলিশের কাছের অভিযোগে জানিয়েছেন, এসএমএসের বিষয়টি অজুহাত মাত্র। দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল জামাই ভরত দাস। এ জন্য স্ত্রীকে মারধরও করত। রবিবার দুপুরেও একই দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে সে। উর্মিলা রাজি না হওয়ায় তাকে খুনের চেষ্টা করে। ঘটনাটি শ্রীরামপুরের ঋষি বঙ্কিম সরণীর। উর্মিলাদেবীকে গুরুতর জখম অবস্থায় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর বারো আগে উত্তর ২৪ পরগনার আলমবাজারের বাসিন্দা উর্মিলার সঙ্গে জুটমিলের ঠিকা শ্রমিক ভরতের বিয়ে হয়। দম্পতির দু’টি ছেলেও রয়েছে। মহিলার বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত ভরত। নিজে ঠিকমতো কাজ করত না। সংসার চালাতে উর্মিলা ছোটখাট কাজ করতেন। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে স্ত্রীকে মারধর করত ভরত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কিছু দিন আগে বাপের বাড়ি ফিরে যান উর্মিলা। দিন কয়েক আগে ফের তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে ভরত। ফের শুরু হয় মারধর। অভিযোগ, রবিবার দুপুরে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের এসএমএস দেখে ভরত উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এর পরেই একটি মদের বোতল ভেঙে উর্মিলার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। আচমকা আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে উর্মিলা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ভরত পালিয়ে যায়।
সোমবার রাতে শ্রীরামপুর থানায় ভরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন উর্মিলার ভাই প্রদীপ দাস। মঙ্গলবার ভরতকে মাহেশ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন শ্রীরামপুর থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি। ভরতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার আঘাত যথেষ্ট গুরুতর। তবে, আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। আজ, বুধবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানান, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। মহিলার মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতকে জানানো হবে।’’