খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
চলতি বছরের ৯ মার্চ সন্ধ্যায় স্থানীয় দত্তপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাড়া করে নিয়ে গিয়ে একটি বাড়ির শৌচাগারের ভিতরে খুন করে বনগাঁ শহরের কোড়ালবাগানের বাসিন্দা হিমাংশু বৈরাগী ওরফে হিমুকে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার রাতে শহর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অসীম ভট্টাচার্য নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশ। তার বাড়ি স্থানীয় চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়। পুলিশের দাবি, অসীমই গুলি চালিয়েছিল হিমুর উপরে। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে। তার খোঁজ চলছিল।
এখনও পর্যন্ত হিমুকে খুনের ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার হল। যদিও পরিবারের দাবি, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই ওই যুবকের পরিবারের তরফে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের বাড়ির সামনে সোমবার রাত থেকে পুলিশ মোতায়ন হয়েছে।
হিমুর বিরুদ্ধে আবার বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক সৌম্য বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগ ছিল। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে ওই যুবক জামিনে ছাড়া পান। হিমুর বাবা রাকেশবাবুর বক্তব্য, “আমার ছেলের খুনের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের প্রভাবশালী একটি মহল আড়াল করার চেষ্টা করছে। যাদের ধরা হয়েছে, তাদের পিছনে মদতদাতা আরও অনেকে আছে। ওর খুনীদের শাস্তির দাবিতে এবং মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে যত দূর যেতে হয় যাব।” পুলিশের দাবি, তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।