ভোটারদের কাছে যেতে বাসে প্রচার বামপ্রার্থীর

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোদের তাপ। তাই প্রচারে রোদের তাপ এড়াতে সকাল ৯টাতেই ক্যানিংয়ে দলীয় অফিস সরগরম। হাজির বামপ্রার্থী আরএসপি-র সুভাষ নস্কর। ঘড়িতে সাড়ে ৯টা। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বেরিয়ে পড়ল প্রচার মিছিল।

Advertisement

সামসুল হুদা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৪ ০২:২৬
Share:

প্রচারে সুভাষ নস্কর।--নিজস্ব চিত্র।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোদের তাপ। তাই প্রচারে রোদের তাপ এড়াতে সকাল ৯টাতেই ক্যানিংয়ে দলীয় অফিস সরগরম। হাজির বামপ্রার্থী আরএসপি-র সুভাষ নস্কর। ঘড়িতে সাড়ে ৯টা। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বেরিয়ে পড়ল প্রচার মিছিল। পুরোভাগে সুভাষবাবু। মিছিল এগিয়ে চলল ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডের দিকে। হাঁটতে হাঁটতেই চলন্ত বাসের যাত্রীদের দিকে হাত নাড়লেন প্রার্থী। পাল্টা হাত নেড়ে এল প্রতিউত্তর।

Advertisement

বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছেই সটান যাত্রীভর্তি বাসে উঠে পড়লেন প্রার্থী। সঙ্গে দলীয় কর্মীরাও। ‘আপনারা সকলেই কাজের মানুষ। সকলকে তো সব সময় পাওয়া যায় না। তাই সকালে কাজে বেরোনোর আগেই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে এলাম।’ প্রার্থীর এমন কথায়, অনেকেই করমর্দনের জন্য বাড়িয়ে দিলেন হাত। হাত বাড়ালেন প্রার্থীও। তারই মধ্যে ভেসে এল মন্তব্য, “আপনার চিন্তা, নেই আমরা আপনার পাশে আছি।” অনেকে বিধায়ককে সামনে পেয়ে উপুড় করে দিলেন অভিযোগের ঝুড়ি। ধৈর্য্য সহকারে সব শুনে ফের হাত তুলে আশ্বাস প্রার্থীর। বাস থেকে নেমে ফের হাঁটা। হাঁটতে হাঁটতেই রাস্তার ধারে এক বৃদ্ধাকে দেখে এগিয়ে গেলেন প্রার্থী। ‘কেমন আছেন মা’ প্রশ্ন করতেই উত্তর এল, “বয়স হয়েছে, চোখে ভাল দেখি না। কানেও কম শুনি। তুমি তো আমাদের এমএলএ। মন্ত্রী ছিলে। আমাদের একটু দেখো।” বৃদ্ধাকে আশ্বস্ত করে ফের হাঁটা দিলেন প্রার্থী। ইতিমধ্যেই বেশ গলদঘর্ম। সব্জিবাজারের দিকে এগোতেই এক ডাব বিক্রেতাকে আটকালেন কর্মীরা। অতঃপর ডাবের জলে কিছুটা শান্তি। ক্যানিং মাছ বাজারে ঢোকার মুখে কয়েকটি দোকানে ঢুকে কর্মীরা প্রার্থীর পরিচয় দিতে দোকান থেকেই ভেসে এল মন্তব্য, “সুভাষদা আমাদের ঘরের লোক। ওঁর সঙ্গে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না।” একটু পরেই ছন্দপতন। বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী বামপ্রার্থীকে দেখেই বলে উঠলেন, “এক সময় বামফ্রন্টের কর্মী ছিলাম। অনেক অবিচার সয়েছি। তবে আপনার বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই।” ব্যবসায়ীর প্রতি বামপ্রার্থীর উত্তর, “ভরসা রাখুন।”

প্রচার শেষে কেমন সাড়া পেলেন? প্রশ্ন করতেই সুভাষবাবুর গলায় ঝরে পড়ল আত্মবিশ্বাস, “মানুষের কাছে গিয়েছিলাম আশীর্বাদ চাইতে। স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement