সকালে বেরিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে। নিজে দাঁড়িয়েছেন শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে। কিন্তু নিজে কলকাতার ভোটার তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে দিকটা উত্তরপাড়া, রিষড়া, ভদ্রেশ্বরের নানা এলাকায় ছুটল তাঁর গাড়ি। দলের কর্মীদের সঙ্গে নেমে কথা বললেন নানা এলাকায়। ঠাট্টা-তামাশাও করতে দেখা গেল। দুপুরের দিকে দেখা মিলল বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অজয়প্রতাপ সিংহের বাড়িতে। এসি ঘরের বিছানায় গা এলিয়ে ছিলেন কল্যাণবাবু। দৃশ্যতই আত্মবিশ্বাসী দেখাল তাঁকে। বললেন, “মানুষ গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের নিরিখেই বিচার করবেন আমাকে। ফলে চিন্তার তো কিছু দেখছি না।”
প্রচারের নানা সময়ে শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী বাপ্পি লাহিড়ীকে নানা ভাবে কটাক্ষ করেছে কল্যাণবাবু ও তাঁর দল। এ দিন অবশ্য কোনও তিক্ততায় গেলেন না কল্যাণ। বললেন, “শ্রীরামপুরে আমি একটা দুর্গাপুজো করি। সেখানে ভাবছি বাপ্পিবাবুকে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ জানাব। আমি ওঁর গানের বড় ফ্যান।” পাশ থেকে দলের আর এক নেতা বলে উঠলেন, “ভাবছি বিজয়া সম্মিলনীতেও ওঁকে ডাকব। পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে।” আপাত সৌহার্দ্যের বার্তায় কি কিছুটা খোঁচা ছিল?
যদি থেকেও থাকে, বাপ্পি সে সব গায়ে মাখতে রাজি নন। কল্যাণের বার্তা শুনে পরে বললেন, “উনি ডেকেছেন, সে তো খুব আনন্দের কথা। রাজনীতি ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার বাইরেও জীবনের নানা ক্ষেত্র আছে। আমি তো এখন শ্রীরামপুরেরই লোক হয়ে গিয়েছি। এখানকার মানুষ আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছেন, তাতে আমি আপ্লুত। ১৬ তারিখের পরে তো দেখা হবেই। কল্যাণবাবুকে শুভেচ্ছা জানাই। ”
কেমন বুঝছেন ভোটের হাওয়া?
বাপ্পি নিজে মুম্বইয়ের ভোটার। প্রচারের ফাঁকেই এক দিনের জন্য সেখানে উড়ে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন। এ দিন বালি-জগাছা হয়ে জাঙ্গিপাড়া ও ফুরফুরাশরিফের নানা দিকে ঘুরেছেন বাপ্পি। ভোট দেখেছেন। বললেন, “কিছু জায়গায় আমাদের দলের লোকজনকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমি সামনে কিছু ঘটতে দেখিনি।”