এ বার নির্বাচন কমিশনের আওতায় এল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। হোয়াটস-অ্যাপ থেকে শুরু করে ফেসবুক এর মতো স্যোশাল নেটওয়াকিং সাইটগুলিতে এ বার নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, লোকসভার প্রার্থীদের কার-কার ওই সব নেটওয়ার্কিং সাইটে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাও বিশদে জানাতে হবে কমিশনকে। সেখানে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য আপত্তিকর কিছু তথ্য থাকলে তা নির্বাচন বিধি সংক্রান্ত এমসিসি (মডেল কোড অব কনট্রাক্টস) ভঙ্গের সামিল হবে। লোকসভা ভোটের আগে এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার বারাসতে সাংবাদিক সম্মেলন করে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতোই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতেও নজরদারি চালানো হবে। প্রার্থীদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিশদ তথ্য কমিশনকে জানাতে হবে। আপত্তিকর কিছু পেলে তা এমসিসি বিধিভঙ্গের আওতায় পড়বে।’’ সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি সমস্ত জায়গা থেকে রাজনৈতিক দলের পোষ্টার, হোর্ডিং সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। না হলে তা সরকারি উদ্যোগে তা খুলে সেই দলের প্রার্থীদের কাছ থেকে খরচ নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত এলাকায় কোনও পোষ্টার, হোর্ডিং থাকলে সেই ব্যক্তি বা সংস্থার ছাড়পত্র দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
ব্যাঙ্কগুলিকেও বিশদ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। যে কোনও গ্রাহকের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকার বেশি চেক বা নগদ ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন হলে তা সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার ৫টি লোকসভার মোট ৮২৫৩ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৬৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৫৭ জন। মনোনয়ন জমার শেষ দিন ২৪ এপ্রিল। ভোট ১২ মে। গণনা ১৬ মে। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরি এবং ব্যারাকপুরের কমিশনার বিশাল গর্গ। তাঁরা জানান, যে কোনও সহায়তার জন্য ফোন করা যাবে ২৫৮৪৬২৩০ নম্বরে।