দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাকদ্বীপে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে গণেশনগর গ্রামে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি মন্ত্রীর বাবার নামে পাট্টা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। খোদ সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর মন্টুরাম পাখিরার বাবার নামে পাট্টা থাকায় নির্বাচনের আগে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাট্টার ক্ষেত্রে অনৈতিকতা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন কাকদ্বীপের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “৫৬ শতক ওই দেবোত্তর সম্পত্তি ১৯৭৫-৭৬ সালে তড়িঘড়ি পাট্টা দিতে গিয়ে ভুল করে বতর্মানে মন্ত্রীর বাবার নামে হয়ে গিয়েছিল। তবে ২০০০ সালে মন্ত্রীর বাবা কালিপদ পাখিরার নামে ওই সম্পত্তি ফের রেকড ও হয়েছিল। একই ভুল থেকে গিয়েছে। তিনি দুবছর আগে মারা ও গেছেন। ওই সম্পত্তি তিনি দখল করেননি। বিষয়টি নজরে এসেছে। সংশোধনের জন্য মহকুমা শাসকের কাছে পাঠানো হবে।
স্থানীয় ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমিটি ১৯৪৭ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তি মন্দির নিমার্নের জন্য দান করে ছিলেন। সেইমত ওই জমিতে একটি মন্দির ও পাশাপাশি একটি সরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে। কিছুদিন আগে বিরোধী দলগুলির বিষয়টি নজরে আসে।
কাকদ্বীপ শহর সিপিএম এর জোনাল সম্পাদক মৃতেন্দু ভুইয়াঁর অভিযোগ মন্ত্রী নিজের ইচ্ছামত প্রভাব খাটিয়ে নিজের বাবার নামে পাট্টা করিয়েছে।
কাকদ্বীপ মহকুমা শাসক অমিত নাথ বলেন এটা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভুমি ও ভুমি সংস্কার দপ্তরে কেউ অভিযোগ করলে ওই দফতর তদন্ত করবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “যে সময় পাট্টা দেওয়া হয়েছিল আমি তখন অনেক ছোট। বাবা কালিপদ পাখিরা মারা গেছেন প্রায় দু’বছর হয়ে গেল। বিষয়টি নজরে এসেছে। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে বাবা ধামির্ক মানুষ ছিলেন। তাঁর ওই মন্দিরে যাতায়াত ছিল।” তবে ২০০০ সালে রেকর্ডের সময় ওই ভুল সংশোধন করা হয়নি কেন? এ বিষয়ে মন্টুবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।