শুধু ক্যানিংয়েই নয়, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রেও দেওয়াল দখলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
ভোট আসতেই দেওয়াল দখল নিয়ে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ করতে শুরু করেছে, তাদের দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। কংগ্রেস, আরএসপি, এসইউসি-র মতো বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ক্যানিংয়ের তালদি, গোলাবাড়ি, বাসন্তীর ভাঙনখালি, ক্যানিং পূর্বের জীবনতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে তৃণমূল। আবার কোথাও কোথাও দেওয়াল না লেখার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অর্ণব রায়ের অভিযোগ, “তালদি, গোলাবাড়ি এলাকায় যে দেওয়ালগুলিতে আমরা গত পঞ্চায়েত ভোটে লিখেছিলাম, এ বারও সেই দেওয়ালগুলিই ব্যবহার করেছি। কিন্তু তৃণমূল সব লেখা মুছে দিয়েছে। এতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।” বিষয়টি মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই কেন্দ্রেরই এসইউসি প্রার্থী তরুণ মণ্ডলেরও একই অভিযোগ, “শাসক দল আমাদের দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে।” তিনিও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন।
বাসন্তীতে এই দেওয়ালেই তাঁদের প্রার্থীর হয়ে লিখন তৃণমূল মুছে
দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এসইউসি। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
স্বভাবতই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ক্যানিং-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি শৈবাল লাহিড়ি বলেন, “ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। সকলেরই দেওয়াল লেখার অধিকার রয়েছে। কেউ যদি এই নিয়ে সমস্যায় পড়েন, আমাদের বলুন। আমরা তাঁকে সাহায্য করব।” অন্য দিকে, গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের ব্যাখ্যা, “আমরা কারও দেওয়াল লিখন মুছে দেইনি। হয়তো বিনা অনুমতিতে দেওয়াল লিখেছিল ওরা। সেই কারণে বাড়ির মালিকই দেওয়াল মুছে দিয়েছেন।”
ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “এই সংক্রান্ত একটা অভিযোগ পেয়েছি। তবে তাতে নির্দিষ্ট করে বলা নেই, কোন কোন দেওয়াল মুছে দেওয়া হয়েছে। যদি বিনা অনুমতিতে কারও বাড়ির দেওয়ালে লেখা হয়ে থাকে, তবে অন্য ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”