চড়ক মেলার আকর্ষণে ভিড় জমেছে নারনায়

তিন দিন আগে চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক মেলা শুরু হয়েছে হাওড়ার ডোমজুড়ের নারনা গ্রামের পঞ্চানন্দের মন্দির চত্বরে। দলে দলে সন্ন্যাসীরা মন্দিরে আসতে শুরু করেছিলেন অনেক দিন আগেই। সংক্রান্তির দিন নীল পুজো, তার পরে চড়ক পুজোকে কেন্দ্র করে মন্দিরের পাশের চড়কতলা মাঠে ওই মেলা দেখতে হাওড়া-হুগলি সীমান্তের ওই মন্দিরে মেলা দেখতে ভিড় করেন মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার বহু মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৬
Share:

তিন দিন আগে চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক মেলা শুরু হয়েছে হাওড়ার ডোমজুড়ের নারনা গ্রামের পঞ্চানন্দের মন্দির চত্বরে। দলে দলে সন্ন্যাসীরা মন্দিরে আসতে শুরু করেছিলেন অনেক দিন আগেই। সংক্রান্তির দিন নীল পুজো, তার পরে চড়ক পুজোকে কেন্দ্র করে মন্দিরের পাশের চড়কতলা মাঠে ওই মেলা দেখতে হাওড়া-হুগলি সীমান্তের ওই মন্দিরে মেলা দেখতে ভিড় করেন মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার বহু মানুষ।

Advertisement

ডোমজুড়ের এই মন্দিরটি প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো। চার শতক জমির উপর মূল মন্দির, নাট মন্দির আর ভোগের ঘর। মূল মন্দিরের মাঝখানে। মাঝখানে একটি প্রাচীন অশ্বত্থ গাছ। মন্দিরে ঢোকার মুখে রয়েছে রাধাকৃষ্ণের একটি মন্দির রয়েছে। পঞ্চানন্দ মন্দিরের সেবাইত ধরণীধর ঘোষ বলেন, “পাঁচশো বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ তুলারাম ঘোষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে অশ্বত্থ গাছের তলায় ঘট স্থাপন করে পঞ্চানন্দের পুজো শুরু করেন। প্রথমের দিকে মন্দিরে ছিল একটি টিনের চাল। পরের দিকে তা সিমেন্টের করা হয়।” কংক্রিটের থামের উপর তৈরি হয়েছে পাকা ছাদও। মাঝখানে রয়েছে সেই প্রাচীন অশ্বত্থ গাছ। পাশেই রয়েছে বিশাল পুকুর। সেখানে স্নান করে পুজো দিয়ে থাকেন ভক্তেরা।

ধরণীধরবাবু জানান, বর্তমানে ঘোষ পরিবারের পঞ্চাশ ঘর সেবাইত পালা করে মন্দিরের পুজো দেন। নিত্য পুজো ছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তিতে গাজন ও বুদ্ধ পূর্ণিমায় উৎসব হয়ে থাকে। তবে সব চেয়ে বেশি ভিড় হয় গাজনের মেলার সময়ে।

Advertisement

চৈত্র সংক্রান্তির মেলায় ২২ ফুট উঁচু বাঁশের ভারা থেকে ঝাঁপ দেন সন্ন্যাসীরা। বটিতে ঝাঁপ বা খেজুর গাছে চড়ে কাঁটা ভাঙার মতো খেলাও হয়। নাগরদোলা থেকে শুরু করে রকমারি খাবার, মনোহারি জিনিস ছোটদের খেলনা, বেতের বোনা বীমাকুলা, মাটির জিনিসপত্রের আকর্ষণে আসেন বহু মানুষ। ভিড় সামলাতে স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশ-কর্মী নিয়োগ করতে হয়। সব মিলিয়ে ভিড় ও সন্ন্যাসীদের আসা-যাওয়ায় পঞ্চানন্দ মন্দিরের এই চড়ক উৎসব যেন ছোটখাটো একটা তারকেশ্বরের চেহারা নেয়। মেলা চলবে আরও এক সপ্তাহ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement