Madhyamik

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে ভুল সংশোধন না-করলে স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা

২০২১ সালে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল। সে বার সংশোধনের জন্য ৯,৮৪৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমে ৪,৪৬০টিতে দাঁড়িয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০৭
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এখন অনলাইনেই রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্রের জন্য পড়ুয়াদের দাখিল করা ডেটা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। শংসাপত্রে ভুল হলে তা সংশোধনও করা হয় অনলাইনে। তার পরেও এ বছর এখনও বহু স্কুল ভুল সংশোধনের চেষ্টা করেনি। এ বার তা নিয়ে কড়া হল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্যদ জানিয়েছে, যে সব স্কুল এখনও পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের শংসাপত্রে ভুল সংশোধনের চেষ্টা করেনি, তাদের ফি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের ফি দিতে হবে না।

Advertisement

২০২১ সালে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল। সে বার সংশোধনের জন্য ৯,৮৪৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমে ৪,৪৬০টিতে দাঁড়িয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় ৫৪.৬৯ শতাংশ কম সংশোধনের আবেদন জমা পড়েছিল। ২০২৩ সালে রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র সংশোধনের আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ১,০০০টি। ২০২১ সালের মাত্র ১০ শতাংশ।

মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর ১৮২টি স্কুল এই অনলাইন ডেটা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়াতে অংশই নেয়নি। সেই স্কুলগুলির বিষয়েই এ বার তৎপর পর্ষদ। যে সব পড়ুয়ার শংসাপত্রে ভুল রয়েছে, অথচ এখনও সংশোধন করেনি স্কুল, তাদের ক্ষেত্রে ফি দেবেন স্কুল কর্তপক্ষ। ওই পরীক্ষার্থীরা নয়। এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা তৎপরতার সঙ্গে করছি। যাতে পড়ুয়ারা সমস্যায় না পড়ে। এর জন্য যে ফি দিতে হবে, তা পড়ুয়ারা দেবে না।’’

Advertisement

পর্ষদ আরও জানিয়েছে, এ বছর অনলাইনে পরীক্ষার্থীদের দাখিল করা নথি খতিয়ে দেখার পর ৭২ জনকে ‘ভুয়ো’ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ৭২ জন ৩২টি স্কুলের। পর্ষদ জানিয়েছে, এর ফলে স্কুলের বদনাম হওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়াও ধাক্কা খাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement