রাজ্য সরকার ডেঙ্গি নিয়ে তথ্য গোপন করছে এবং অন্য দিকে বিরোধী দলের কাউন্সিলরেরা সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করলে তাঁদের নিগ্রহের মুখে পড়তে হচ্ছে, এই অভিযোগ নিয়ে এ বার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল বিরোধী বামফ্রন্ট। কলকাতা ও কামারহাটি পুরসভার দুই বাম কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা মিত্রকে ডেঙ্গি-প্রশ্নে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে বুধবার বাম বিধায়কেরা দাবি করেছেন, স্বাস্থ্য যে হেতু যৌথ তালিকায় আছে, তাই এমন মহামারীর সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার সক্রিয় পদক্ষেপ করুক। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার কেন ডেঙ্গি আড়াল করছে, তা রাজ্যপালের কাছেও স্পষ্ট নয়।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চুপ করে থেকে তার পরে কেন্দ্রীয় সরকার শুধু বলবে রাজ্য ব্যর্থ, এটা তো হতে পারে না! স্বাস্থ্য যৌথ তালিকায় আছে। কেন্দ্রের দায়িত্ব এমন রোগ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া।’’ সুজনবাবুর দাবি, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। কয়েক দিন আগেই ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে এবং রাজ্য সরকারকে আরও তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে রাজভবন। বাম বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনায় এ দিন সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। পরে সুজনবাবুর আরও কটাক্ষ, ‘‘আমরা যে সব এলাকায় সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালিয়ে আসছি, সেখানে পরে মেয়র-মন্ত্রীরা দৌড়চ্ছেন! যাদবপুর, টালিগঞ্জ, ভাঙড়ে তা-ই দেখলাম!’’
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে এ দিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে দাবিপত্র দিতে গিয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব লিগ। পুলিশ সকলকে সিএমওএইচ দফতর চত্বরে ঢুকতে না দেওয়ায় কিছু ক্ষণ যশোর রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ফ ব-র জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রোগে আক্রান্ত মানুষ যেখানে গিয়েছেন, সেখানে প্রশাসনের আচরণ এমন, যেন লুঠপাট চালাতে এসেছে সবাই!’’