দেবর্ষি চন্দ
ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা ক্যাট (কমন অ্যাডমিশন টেস্ট)-এ প্রাপ্ত নম্বরের বিচারে সেরা হয়েছেন তিনি। তবুও দেশের সেরা ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমবিএ পড়তে চাইছেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দেবর্ষি চন্দ। ‘হোক কলরব’ হোক বা নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ দেবর্ষি অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করতে চান। তিনি বলছেন, ‘‘আমি ডেভেলপমেন্ট ইকনমিক্স নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই আইআইএম-এ অর্থনীতি নিয়ে পিএইচডি করতে চাই।’’
ক্যাট-এ সেরার বিচার হয় পার্সেন্টাইলে। এ বার ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন ১০ জন পরীক্ষার্থী। তাদেরই অন্যতম দেবর্ষি। তবে এ বারই নয়, গত বারও ক্যাট-এ বসেছিলেন
তিনি। সে বার তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৯.৮৩ পারসেন্টাইল।
রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন থেকে উচ্চধ্যমিক পাশ করার পরে ২০১৪ সালে যাদবপুরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন তিনি। বি টেক পাশ করার পরে আপাতত যাদবপুরেরই ‘স্কুল অব এনার্জি স্টাডিজ়’-এ স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করছেন দেবর্ষি। গোড়া থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত মুখ দেবর্ষি। ছাত্র আন্দোলনেও তাঁকে বারবার সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে। পাশপাশি দেবর্ষি ফুটবল পাগল। এদিন জানিয়ে দিলেন, দু’বার ক্যাট দিতে আলাদা করে কোনও তালিম তিনি নেননি। নিজের মতোই পড়াশোনা করে গিয়েছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘‘দেবর্ষির জন্য আমরা সকলেই গর্বিত।’’
যে দশ জন ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন তাঁদের সকলেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। এঁদের মধ্যে ছয় জন বিভিন্ন আইআইটি-র ছাত্র। দু’জন এনআইটি থেকে পড়াশানা করেছেন। রয়েছেন যাদবপুরের দেবর্ষিও। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন ছাত্র। ছাত্রী ছিলেন ৭৫ হাজার ৪ জন। ৫ জন রূপান্তরকামী পরীক্ষার্থী ছিলেন।