মর্জিনা খাতুন
নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মালদহের রতুয়া।
শুক্রবার রাতে সামসি কলেজের কাছে ধানজমি থেকে মর্জিনা খাতুন (২২) নামে এক ওই ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শনিবার সকালে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিজন ও গ্রামবাসীরা। পরিবারের অভিযোগ, অপহরণ করে ওই ছাত্রীকে খুন করেছে তাঁর স্বামীই। এ দিন সকালে স্থানীয় বাহারালে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ বিক্ষোভ শুরু হয়। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের একাংশ পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়েন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এ দিনের ঘটনায় পুলিশ ছ’জনকে আটক করেছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মৃতার বাবা আনিসুর রহমান এবং আরও পাঁচ জন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
মৃতার পরিবারের বক্তব্য, চার দিন আগে ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। এর পরে মর্জিনার স্বামী আজহার শেখের বিরুদ্ধে তাঁকে অপহরণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। পরের দিন আজহারকে পুলিশ গ্রেফতার করে হেফাজতে নিলেও মর্জিনার পরিবারের অভিযোগ, গ্রেফতারির আগেই আজহার মর্জিনাকে খুন করেছে। পরিবারের দাবি, অপহরণের অভিযোগের পরেই পুলিশ সক্রিয় হলে মর্জিনাকে খুন হতে হত না। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ওই যুবককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর এ দিনের ঘটনায় গুলি চালানো হয়নি। তবে পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া হয়। দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনায় ছ’জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।”